একজন টিম ইন্ডিয়ার অন্যতম সেরা পেসার। অন্যজন ভারতীয় দলের আঙিনায় ইতিমধ্যেই মাথা গলিয়েছেন। টেস্ট হোক বা সীমিত ওভারের ক্রিকেট, মহম্মদ শামিকে সামলানো কতটা কঠিন, সেটা রথী-মহারথী ব্যাটাররাও বোঝেন। তবে বর্তমান প্রজন্মের ভারতীয় ব্যাটাররা কতটা ডাকাবুকো, সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেলেন শামি।
জাতীয় দলে স্বদেশীয় ব্যাটারদের নেটে বল করতে হলেও ম্যাচে মুখোমুখি হওয়ার প্রশ্ন নেই। তবে আইপিএলের আঙিনায় জাতীয় দলের সতীর্থরাও এখন প্রতিপক্ষ। শুক্রবার আমদাবাদে ভারতীয় দলের হয়ে ইতিমধ্যেই ৩টি ওয়ান ডে ও ১টি আন্তর্জাতিক টি-২০ খেলা সাই সুদর্শন যে রকম নির্মমভাবে প্রহার করলেন শামিকে, বাংলার তারকা পেসারের পক্ষে সেই লাঞ্ছনা ভোলা সহজ হবে না।
শুক্রবার আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে আইপিএল ২০২৫-এর ৫১তম লিগ ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে গুজরাট টাইটানস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে হোমটিম গুজরাট। যথারীতি ক্যাপ্টেন শুভমন গিলের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন সাই সুদর্শন।
আরও পড়ুন:- ছেলে SRH-এর ক্রিকেটার, পিতা RCB-র সাপোর্টার! IPL কি তবে পরিবারেও ফাটল ধরাচ্ছে?
শামির ওভারে ৫টি চার সুদর্শনের
হায়দরাবাদ নতুন বল তুলে দেয় মহম্মদ শামির হাতে। শামির প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে ছক্কা হাঁকান শুভমন গিল। সেই ওভারে ১১ রান ওঠে। দ্বিতীয় ওভারে বল করতে আসেন জয়দেব উনাদকাট। তাঁর ওভারে মোটে ৫ রান ওঠে। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে পুনরায় বল করতে আসেন শামি। প্রথম বলেই চার মারেন সাই সুদর্শন। দ্বিতীয় বলে কোনও রান ওঠেনি। তবে ওভারের শেষ চারটি বলে পরপর ৪টি চার মারেন সুদর্শন।
অর্থাৎ, শামির ওভারের ৬টি বলের মধ্যে ৫টি বলকে বাউন্ডারির বাইরে পাঠান সুদর্শন। সেই ওভারে ২০ রান ওঠে। শামি তাঁর প্রথম স্পেলে ২ ওভার বল করে ৩১ রান খরচ করেন। তবে একা শামিকেই নয়, পরে হার্ষাল প্যাটেলকেও সাই সুদর্শনের হাতে লাঞ্ছিত হতে হয়। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে সানরাইজার্সের হয়ে প্রথমবার বল করতে আসেন হার্ষাল। তাঁর ওভারে চারটি চার মারেন সাই।
আরও পড়ুন:- বাতিল হতে পারে রোহিতদের বাংলাদেশ সফর, পহেলগাঁওয়ের আগুনেই পুড়তে চলেছে এশিয়া কাপ- রিপোর্ট
শেষে নিশ্চিত হাফ-সেঞ্চুরির দোরগোড়া থেকে সাজঘরে ফিরতে হয় সুদর্শনকে। তিনি ৬.৫ ওভারে জীশান আনসারির বলে উইকেটকিপার এনরিখ ক্লাসেনের হাতে ধরা পড়েন। সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে ৪৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন সুদর্শন। এমন মারকাটারি ইনিংসে তিনি মোট ৯টি চার মারেন। গুজরাট টাইটানস ওপেনিং জুটিতেই ৮৭ রান তুলে শক্ত ভিত গড়ে ফেলে।