যে কোনও পকসো মামলার ক্ষেত্রে নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষা নিয়ে বিশেষ নিয়ম রয়েছে। সেই নিয়ম মানা নিয়ে নির্দেশ জারি করল স্বাস্থ্য ভবন। নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষার বিষয়ে কী কী করা দরকার, তা নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনের পক্ষ থেকে রাজ্যের প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ, সহকারী অধ্যক্ষ এবং জেলা স্বাস্থ্য অধিকর্তাদের চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, পকসো আইন অনুযায়ী, নির্যাতিতাদের ডাক্তারি পরীক্ষা নিয়ে নিয়ম আগে থেকেই রয়েছে। সেই নিয়ম মনে করিয়ে দিয়েই নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য ভবন। বলা হয়েছে, নিয়ম কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।
আরও পড়ুন: ৫ মাস আগে কলকাতার নামী স্কুলের ছাত্রীকে ‘গণধর্ষণ’, FIR হতেই গ্রেফতার ৩ ‘বন্ধু’!
স্বাস্থ্য দফতরের তরফে নির্দেশ জারি করে বলা হয়েছে, কোনও নির্যাতিতা বালক বা নাবালিকা হাসপাতালে গেলে তার ডাক্তারি পরীক্ষা করতে হবে। এফআইআর না হলেও পরীক্ষা করাতে হবে। আরও বলা হয়েছে, হাসপাতালে কোনও মহিলা চিকিৎসককেই এই পরীক্ষা করতে হবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য ভবনের তরফে নির্দেশে বলা হয়েছে, প্রতিটি হাসপাতালের জন্য একটি মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি করতে হবে।
নির্দেশ অনুযায়ী, নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষার সময় পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। সেক্ষেত্রে পরিবারের কেউ উপস্থিত না থাকলে তার পরিবারের ঘনিষ্ঠ কোনও ব্যক্তিকে উপস্থিত থাকতে হবে। যদি তা না হয়, তাহলে পরীক্ষা স্থগিত রাখা যাবে।
ডাক্তারি পরীক্ষা নিয়ে শিশুদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, নির্যাতিনের শিকার হওয়া কোনও শিশুকন্যার পরিবারের সদস্য উপস্থিত থাকতে না পারলে বা পরিবারের ঘনিষ্ঠ কেউ উপস্থিত না থাকতে পারলে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের পকসো বোর্ডের মহিলা চিকিৎসককে উপস্থিত থাকতে হবে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে থেকেই এই নিয়ম ছিল। তবে অনেক হাসপাতালেই এই নিয়ম মেনে চলা হচ্ছিল না বলে অভিযোগ উঠছিল। সেই কারণে পুনরায় নির্দেশিকা জারি করে নিয়মের কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে। সব কলেজের অধ্যক্ষ ও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের পাশাপাশি শিশু অধিকার কমিশন এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগে চিঠি দেওয়া হয়েছে।