খড়গপুর আইআইটি ক্যাম্পাসে আবারও একজন ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটল। শনিবার দুপুরে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের গবেষক হর্ষকুমার পাণ্ডের (২৭) ঝুলন্ত মৃতদেহ বিআর আম্বেদকর হলের একটি কক্ষে পাওয়া যায়। হর্ষকুমারের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের রাঁচি জেলায়। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ানোর পাশাপাশি প্রশ্ন উঠেছে নিরাপত্তা নিয়ে।
আরও পড়ুন: আবারও অস্বাভাবিক মৃত্যু! হোস্টেলে পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ, তোলপাড় IIT খড়্গপুর
পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। আইআইটি কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ পৃথকভাবে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে, পাশাপাশি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিও গঠন করা হয়েছে। খড়গপুর থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে এবং এফআইআরও করা হচ্ছে। আইআইটির ডিরেক্টর সুমন চক্রবর্তী বলেছেন, অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। ঘটনার খবর পেয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিকে দ্রুত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরে আইআইটিতে ছ’জন ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটেছে। এর মধ্যে পাঁচজনেরই ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ২১ জুলাই ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চন্দ্রদীপ পাওয়ার গলায় ওষুধ আটকে মারা যান। এছাড়া ১৮ জুলাই মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ঋতম মণ্ডলের মৃত্যু ঘটে। আইআইটি কর্তৃপক্ষ গত বছর থেকেই ছাত্রদের মানসিক চাপ কমাতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। বিশেষ অ্যাপ চালু করা, মানসিক সহায়তা প্রদান, এমনকি ডিরেক্টর নিজে ছাত্রদের সঙ্গে মশাল মিছিল ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম করেছেন। তবুও ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা থামানো যাচ্ছে না।
আইআইটি সূত্রে জানা গিয়েছে, হর্ষকুমারের কক্ষের দরজা অনেকক্ষণ ভিতর থেকে বন্ধ থাকায় সহপাঠীরা বিষয়টি নিরাপত্তা বিভাগের নজরে আনে। এরপর খড়্গপুর টাউন থানায় খবর যায়। দুপুর ২টা নাগাদ হিজলি ফাঁড়ির পুলিশ তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এই ঘটনায় আবারও ছাত্রদের মানসিক চাপ ও সুরক্ষার গুরুত্ব সামনে এসেছে। চলতি বছরের একের পর এক অস্বাভাবিক মৃত্যু আইআইটি কর্তৃপক্ষের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।