সিপিএম নেতাকে প্রকাশ্যে চড় মারার অভিযোগে বিতর্কে জড়িয়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুর বংশীহারী থানার আইসি। বনধ পিকেটিং চলাকালীন সিপিএমের ওই নেতাকে চড় মারেন আইসি অসীম গোপ। তা নিয়েই এবার রাজ্য মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ জানাল সিপিএম। সঙ্গে জেলা পুলিশ সুপারের কাছেও অভিযোগ জমা দিয়েছে তারা। ঘটনায় রীতিমতো আইনি পদক্ষেপের পথে হাঁটার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাম নেতৃত্ব। নিন্দার সুরে সুর মিলিয়েছে কংগ্রেসও।
আরও পড়ুন: গরম দেখানো হচ্ছে, বনধের সমর্থনে রাস্তায় নামা সিপিএম নেতাকে সপাটে চড় আইসি-র
ঘটনা গত বুধবার সকালে। সারা দেশের ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকে সাধারণ ধর্মঘটের সমর্থনে বুনিয়াদপুরে পিকেটিং করছিলেন সিপিএম-এর বংশীহারী এরিয়া কমিটির সদস্য মাজেদার রহমান। সেই সময় তাঁকে সপাটে চড় মারেন থানার আইসি অসীম গোপ। এমনটাই অভিযোগ বাম নেতৃত্বের। এরপর তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং দিনভর আটকে রাখার পর, রাতে মেডিক্যাল চেকআপ ও বন্ডে সই করিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার পরই বাম শিবিরে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। সিপিএমের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা নেতৃত্ব একে গণতান্ত্রিক অধিকারের সরাসরি লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেন। তাঁদের বক্তব্য, এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছাড়া আর কিছু নেই। জেলা নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়েছে, আইসি-র বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এবং রাজ্য মানবাধিকার কমিশনেও বিষয়টি তোলা হয়েছে। এছাড়াও দলীয়ভাবে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। অন্যদিকে, এই ঘটনার প্রতিবাদে আগামী তিন দিন জেলায় লাগাতার বিক্ষোভ ও ধিক্কার কর্মসূচি পালন করবে বামফ্রন্ট। একইসঙ্গে, সিটুর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা নেতা গৌতম গোস্বামীর দাবি, এই ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে।
এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় জেলা পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কী ঘটেছিল বনধ চলাকালীন, কেন এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে, সারা ভারত কৃষক সভার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শকিরুদ্দিন আহমেদ জানান, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় স্তরে বিষয়টি জানানো হয়েছে। দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।