ভারত বনধের সমর্থনে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। এবার বনধের সমর্থনে রাস্তায় নামার জন্য সিপিএম নেতাকে প্রকাশ্যেই চড় মারলেন থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক। দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারীতে বুধবার সকালে এই ঘটনা ঘিরে ছড়ায় চাঞ্চল্য। আক্রান্ত নেতার নাম মাজেদার রহমান। তিনি সিপিএম-এর বংশীহারী এরিয়া কমিটির সদস্য। শুধু শারীরিক নিগ্রহ নয়, এরপর তাঁকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। বাম নেতৃত্ব অভিযোগের আঙুল তুলেছে থানার আইসি অসীম গোপের দিকে। সিপিএম জানিয়েছে, এই ঘটনার লিখিত অভিযোগ জানানো হবে পুলিশ সুপারের কাছে। (আরও পড়ুন: বড় কোনও দায়িত্ব পাবেন দিলীপ? শমীকের সঙ্গে সাক্ষাতের পরই ডাক পেলেন দিল্লিতে)
আরও পড়ুন: WB: যাদবপুরে পুলিশের জুতোতে লাগল আগুন, বাংলার কোথায় কেমন প্রভাব ভারত বনধের?
জানা গিয়েছে, ১০টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের ডাকে ডাকা সর্বভারতীয় বনধে বুধবার সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় নামে বামপন্থীরা। বংশীহারীতেও পিকেটিং করছিলেন আন্দোলনকারীরা। সেই সময় উপস্থিত হন থানার আইসি অসীম গোপ। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘পিকেটিং করতে পারেন, তবে গাড়ি আটকানো যাবে না।’ এই কথার জবাবে সিপিএম নেতা মাজেদার রহমান জানান, তাঁরা সারাদিন আন্দোলন চালাবেন। পুলিশের সঙ্গে তিনি বচসায় জড়িয়ে পড়েন। আইসি বলেন, গরম দেখানো হচ্ছে। এই বলে সঙ্গে সঙ্গে বাঁ হাতে সপাটে মাজেদারকে চড় মারেন আইসি। চড় খেয়ে হতভম্ব হয়ে পড়েন সিপিএম নেতা। এরপরই তাঁকে পুলিশ ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। (আরও পড়ুন: কসবা কাণ্ডে পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ, ধৃত মনোজিতদের নিয়ে আদালতে কী বলা হল?)
আরও পড়ুন: ছাত্রদের যৌনাঙ্গ দেখাতে বলা TMCP নেতা সৌভিক রায়কে শোকজ দলের
ঘটনার পরে পুলিশ কোনও মন্তব্য না করলেও, বাম নেতৃত্ব এই আচরণকে অসাংবিধানিক ও গুন্ডামির নিদর্শন বলে আক্রমণ শানিয়েছে। সিপিএমের বংশীহারী এরিয়া কমিটির সম্পাদক বাবলুচন্দ্র দে বলেন, শান্তিপূর্ণ বনধে এই ধরনের আচরণ নজিরবিহীন। আইসি আসলে শাসকদলের হয়ে কাজ করছেন। উর্দি পরে গুন্ডাগিরি করছেন। এর পিছনে উপরমহলের মদত রয়েছে বলেই মনে হচ্ছে।
অন্যদিকে, সিপিএম কর্মী-সমর্থকেরা ‘পুলিশ তুমি উর্দি ছাড়ো, তৃণমূলের পতাকা ধরো’ স্লোগানে গর্জে ওঠেন। ঘটনাস্থলে উত্তেজনা ছড়ায়। নেতাদের দাবি, এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহত্তর আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা। পুলিশ যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তবে বাম নেতৃত্ব জানিয়েছে, প্রয়োজন হলে প্রশাসনের উচ্চস্তরে অভিযোগ জানিয়ে আইনি পথেও হাঁটবেন তাঁরা।