হাল ছেড়ো না বন্ধু বরং কণ্ঠ ছাড়ো জোরে। না হাল ছাড়ার পাত্র নন শিলিগুড়ির চৈতন্য খেমানি। আর এই হাল না ছাড়লে. অদম্য জেদ আর নিষ্ঠা থাকলে যে কী হয় তা আরও একবার প্রমাণ করলেন চৈতন্য খেমানি। ইউপিএসসিতে রাজ্যের মধ্যে প্রথম চৈতন্য। ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিসে যোগ দিতে চান চৈতন্য খেমানি। তবে লড়াইটা একেবারেই সহজ ছিল না চৈতন্যের। একবার নয়, পরপর দুবার তিনি ইউপিএসসিতে পাশ করতে পারেননি। তারপরেও হাল ছাড়েননি। তৃতীয়বারে সফল। আর একেবারে রাজ্যের মধ্যে প্রথম। কিন্তু এই যে পরপর দুবার ব্যর্থ। তারপর ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। সেটা কীভাবে করলেন চৈতন্য? একবার ব্যর্থ হয়েই তো মনোবল হারিয়ে ফেলেন অনেকে। চৈতন্য সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ভেঙে পড়িনি। মা পাশে ছিলেন। সবসময় সাহস দিয়েছেন। পরিবারের সকলেই আমার পাশে ছিলেন। আসলে এই ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়েছিলেন চৈতন্য। আগের বার কেন ব্যর্থ হয়েছিলেন, কোথায় ফাঁক থেকে গিয়েছিল এসব একেবারে ঠান্ডা মাথায় দেখে নিয়েছিলেন তিনি। অন্যরা যখন ব্যর্থ হয়ে হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন তখন চৈতন্য উঠে দাঁড়িয়েছিলেন। আর ঠিক এই জায়গাতেই অন্যদের সঙ্গে তাঁর ফারাক। আর সেদিন ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন বলেই আজ তিনি সফল। একটা বেসরকারি জায়গায় চাকরি করতেন। সেখান থেকে সময় বাঁচিয়ে ইউপিএসসির পড়াশোনা। বিস্তারিত পড়াশোনা। মন দিয়ে পড়াশোনা। তবে চাকরি সামলে দিনে ঘণ্টা চারেকের বেশির সময় বের করতে পারতেন না। তবে নিষ্ঠার ফলও পেয়েছেন হাতে নাতে। শিলিগুড়ির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের খালপাড়ার বিদ্যাসাগর রোডের চৈতন্য খেমানি গোটা রাজ্যের নজর কাড়লেন। গোটা দেশে তাঁর স্থান ১৫৮। আইপিএস হতে চান চৈতন্য খেমানি। সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি জানিয়েছেন, খুব ভালো লাগছে। প্রতিযোগিতা খুব উচ্চ পর্যায়ে হয়। সেকারণে সকলকে বলব কারেন্ট অ্য়াফেয়ার্সগুলো ভালো করে দেখতে হবে। অন্যান্য বিষয়গুলো খুব মন দিয়ে পড়তে হয়। চৈতন্য খেমানির মা জানিয়েছেন, গোটা দেশে ওর নাম হবে। খুব খুশি। আমাদের স্বপ্ন ছিল এটা। আমরা সবসময় বলতাম ব্যর্থতা তো আসবেই। কিন্তু ঘুরে দাঁড়াতেই হবে। আগে থেকেই ও মেধাবী ছিল।