সিবিআই জালে এখন চন্দন মণ্ডল। রাতভর তাঁকে জেরা করে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে সিবিআই। তবে এই চন্দন মণ্ডল ওরফে রঞ্জনের ঠাটবাট নাকি বিশেষ ছিল না। কুন্তল ঘোষের মতো সরাসরি কোনও দলের সদস্য ছিল না এই চন্দন মণ্ডল। অথচ সে নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত। যার নাম প্রথম প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন প্রাক্তন সিবিআই কর্তা এবং প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক উপেন বিশ্বাস। তাই এই উপেন বিশ্বাস তাকে ফাঁসিয়েছে বলে দাবি ‘সৎ রঞ্জন’ ওরফে চন্দন মণ্ডল।
তাহলে কে এই চন্দন মণ্ডল? চন্দন মণ্ডলের নাম জানেন অনেকেই। নিজের এলাকা ছাড়াও বাগদার বাইরে, উত্তর ২৪ পরগনার বাইরেও চন্দনের জাল ছড়ানো ছিল। নিজে গ্রামের প্রাথমিক স্কুলে প্যারাটিচার পদে চাকরি করত চন্দন। বাগদায় মামা–ভাগিনা গ্রামে দোতলা বাড়ি রয়েছে চন্দনের। চন্দন সক্রিয় রাজনীতি করত না। তারপরেও তার দোতলা বাড়ির সামনে একদা লোকজনের লাইন লেগে থাকত। দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসতেই বেশ কিছুদিন পলাতক ছিলেন চন্দন। তার বাড়ির গেটের তালা বন্ধ ছিল। একসময় সিপিএমের সঙ্গে জড়িত ছিল চন্দন। তবে সেটা কেমন করে তা জানতে পারেনি সিবিআই। বাকি তথ্য হাতে এসেছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? চন্দন মণ্ডল টাকা নিয়ে চাকরি দিত বলে এলাকার অনেকেই জানেন। তবে কাউকে চাকরি দিতে না পারলে টাকা ফেরতও দিত সে বলে জানা গিয়েছে। যাঁদের চাকরি দিয়েছিল চন্দন ইতিমধ্যে তাদের অনেকের চাকরি গিয়েছে আদালতের নির্দেশে। চন্দন চাকরি দিত প্রাথমিক, উচ্চ–প্রাথমিক থেকে হাইস্কুলেও। ১০, ১৫ এবং ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দর উঠত বলেও জানান বাসিন্দারা। নিজের এলাকায় কালীপুজো করত চন্দন। প্রচুর মানুষ সেখানে আসত। বেশ কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি এই পুজোয় আসত বলে সিবিআই জানতে পেরেছে। এখন তাঁদের খোঁজ করা হচ্ছে।