এবার ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে গেল ক্যানিংয়ের একটি রেস্তোরাঁয়। এখানে খাবার খেতে এসে ছিলেন দু’জন বান্ধবী। কিন্তু যে খাবার অর্ডার করেছিলেন তা টেবিলে আসার পর মুখে দিতেই বুঝতে পারেন অত্যন্ত নিম্নমানের খাবার তাঁদের দেওয়া হয়েছে। তখনই এই খাবারের মান নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন করেন রেস্তোরাঁর মালকিনকে। এই প্রশ্ন শুনেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে ওই দুই মহিলা খদ্দেরকে বেধড়ক মারধর করেন তিনি বলে অভিযোগ। এমনকী দুই বান্ধবীকে চুলের মুঠি ধরে মারধর করে রেস্তোরাঁ থেকে বের করে দেওয়া হয়। গালাগালি করেন রেস্তোরাঁর লোকজন বলে অভিযোগ। তারপরই এই নিয়ে ক্যানিং থানায় অভিযোগ দাযের করেন আক্রান্তরা। তার জেরে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? মঙ্গলবার সোনারপুর থেকে সাত বান্ধবী একসঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিলেন ক্যানিংয়ে। এঁদের মধ্যে একজনের বিবাহবার্ষিকী ছিল গতকাল। ওই বান্ধবীরা সংবাদমাধ্যমে জানান, ক্যানিংয়ের চারদিকে ঘোরার পর ক্লান্ত লাগছিল। গরম লাগছিল খুব। তারপর সন্ধ্যায় ক্যানিং রেলগেটের কাছে ‘অফ সাইড ক্যাফে’ নামের রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছিলেন। ওখানেই তুমুল গোলমাল শুরু হয়। ওই বান্ধবীদের অভিযোগ, যে সমস্ত খাবার ‘অর্ডার’ দেওয়া হয়েছিল সেগুলি মুখে দিতেই বোঝা যায় গুণগত মান অত্যন্ত খারাপ। এই বিষয়টি নিয়ে রেস্তোরাঁর লোকজনকে প্রশ্ন করা হয়, ‘খাবারের মান এত খারাপ কেন?’ তখন তাঁরা দুর্ব্যবহার করেন।
আরও পড়ুন: দিলীপের স্ত্রীর রিঙ্কুর ছেলের মৃত্যুতে সমবেদনা কুণালের, সমালোচকদের দিলেন জানোয়ার তকমা
তারপর ঠিক কী ঘটল? যাঁরা খাবারের অর্ডার নিচ্ছিলেন এবং সার্ভ করছিলেন তাঁরা তো দুর্ব্যবহার করলেনই, তারপর মালকিনকে ডেকে আনলেন। এই রেস্তোরাঁর মালকিনের নাম কেয়া বিশ্বাস। আক্রান্ত বান্ধবীদের অভিযোগ, রেস্তোরাঁর মালকিন কেয়া বিশ্বাস ওয়েটারদের কাছ থেকে কথা শুনে হঠাৎই সেখানে হাজির হয়। আর ঝগড়া জুড়ে দেয়। বিষয়টি তাকে বুঝিয়ে বলার সময়ই দুজনের চুলের মুঠি ধরে রেস্তোরাঁ থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে দেয়। এমন মারধরের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়তেই মারধর, গালাগালি করতে থাকে মালকিন কেয়া।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই মারধরের ঘটনায় আক্রান্ত দু’জন মহিলাকে রাতেই ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আক্রান্ত দুই যুবতীর চিকিৎসা করানো হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে মাঝরাতে ক্যানিং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। আজ, বুধবার সকাল থেকে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথাযথ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও মালকিন কেয়া বিশ্বাস এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও মন্তব্য করেননি।