মুরলিধর সেন স্ট্রিটে দলের রাজ্য সদর দফতরে বিজেপির জন্মদিন পালন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে সেকুলারিজমের নামে রাজ্যে তোষণ চলছে বলে দাবি করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রবিবার সকালে বামসহ অন্যান্য সেকুলার শক্তিগুলির বিরুদ্ধে ইতিহাস বিকৃত করারও অভিযোগ করেন তিনি। একই সঙ্গে ‘ভণ্ড সেকুলার’দের বিরুদ্ধে হিন্দুদের একজোট হয়ে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সুকান্তবাবু বলেন, ‘সেক্যুলারিজমের নামে যে বুলি আমাদের শেখানো হয়েছে তা সঠিক বুলি নয়। ললিপপ দিয়ে আমাদের দিনের পর দিন বোকা বানানো হয়েছে। আমেরিকার রাষ্ট্রপতি বাইবেলের ওপর হাত রেখে শপথ নেন, তার পরেও আমেরিকা সেকুলার। আমাদের প্রধানমন্ত্রী গীতার ওপর হাত রেখে শপথ নিলে কী হত একবার ভেবে দেখুন তো। জ্ঞানবাপী মসজিদে শিবলিঙ্গের ওপর দিনের পর দিন হাত পা ধোওয়া হয়েছে। তার পরও হিন্দুরা চুপ ছিল। এটা অন্য কোনও ধর্মের আরাধ্য দেবতার সঙ্গে হলে সেই দেশে সংখ্যালঘুদের কী হাল হত একবার ভেবে দেখুন।’
দেশভাগের প্রসঙ্গ তুলে সুকান্তবাবু বলেন, ‘ভারত ভাগ হয়ে বাংলাদেশ - পাকিস্তান তৈরি হয়েছিল। তাদের সঙ্গে আমাদের DNA এক। তার পরেও সেখানে বহুত্ববাদ, সর্বধর্ম সমন্বয় চলে না। সিপিএম নেতারা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের প্রতিষ্ঠিত বাংলায় বসে সেকুলারিজমের কথা বলতে হয়। সিপিএম হাসিম আবদুল হালিমকে পাঠিয়েছিল বাংলাদেশে বামপন্থা প্রতিষ্ঠিত করতে। পারেননি, পালিয়ে এসেছিলেন।’
এর পরই সরাসরি বামেদের বিরুদ্ধে ধর্মনিরপেক্ষতার নামে তোষণের রাজনীতির অভিযোগ করেন সুকান্তবাবু। তিনি বলেন, ‘আমরা কোনও দিন দেখিনি যে কলকাতার রাস্তা গেরুয়া পতাকা, জয় শ্রী রাম নামে ছেয়ে গেছে। বাঙালি তার নিজের খোলস থেকে বেরিয়ে আসছে। বাঙালিকে সেকুলারিজমের যে আফিম খাওয়ানো হয়েছিল তার থেকে তারা বেরিয়ে আসছে। কোথায় ভেনিজুয়েলা, প্যালেস্তাইনে কী হচ্ছে তা নিয়ে মিছিল করা যায়। তাদের মতো জামা পরে ইসলামিকরণ করা যায় পার্টির। কিন্তু বাংলাদেশি হিন্দুদের জন্য এক বিন্দু চোখের জল ফেলা যাবে না। তাহলে ওটা সাম্প্রদায়িকতা হবে। এটা ধর্মনিরপেক্ষতা নয়, এটা তোষণের রাজনীতি। হিন্দুর কথা ওরা তখনই বলবে যখন, হিন্দু একত্রিত হয়ে ভোটব্যাঙ্ক হয়ে ভোট দিতে পারবে।’