বাংলার সীমান্তে সক্রিয় হয়ে উঠেছে অস্ত্র কারবারিরা। আর তা গোপন সূত্রে খবর পেয়ে যায় এসটিএফ। তারপরই গতকাল মাঝরাতে বসিরহাট থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ তাজা কার্তুজ। রাজ্য পুলিশের এসটিএফ গ্রেফতার করেছে দুই অস্ত্র ব্যবসায়ীকে। তাদের কাছ থেকে মিলেছে দুটি পিস্তল। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট থেকে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স তাজা কার্তুজ ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করার ঘটনা সামনে আসতেই পহেলগাঁও হামলার কথা মনে পড়ে যায় সকলের। তাহলে কি আবার কোনও নাশকতা করার ছক কষা হয়েছিল? চলছে দফায় দফায় জেরা।
এদিকে এসটিএফ সূত্রে খবর, ওই দুই ব্যবসায়ীর কাছে থেকে উদ্ধার হওয়া কার্তুজের পরিমাণ ২৫২। যা চমকে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। এত পরিমাণ কার্তুজ কোথায় পাচার করা হচ্ছিল? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন এসটিএফের অফিসাররা। আর তাই ধৃতদের দফায় দফায় জেরা করে চলেছেন তদন্তকারীরা। দুটি সেমি–অটোমেটিক পিস্তল এবং মোট ২৫২ রাউন্ড কার্তুজ ভাবিয়ে তুলেছে। এখন দেশের সীমান্ত এলাকাগুলিতে বাড়তি নজরদারি চলছে। তার জেরে এখন নিরাপত্তার ফাঁক গলে বেআইনি অস্ত্রের কারবার চালানো মুশকিল।
আরও পড়ুন: দিঘায় আসছেন সাংসদ অভিষেক, উচ্ছ্বাস–উদ্দীপনার জোয়ার, পর্যটকশূন্য সৈকত
অন্যদিকে এসটিএফ সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম দীপ্তজিৎ সেন (২৯) এবং কাজল মুখোপাধ্যায় (৪০)। দু’জনের বাড়িই বসিরহাট থানার ছোট জিরাকপুর এলাকায়। মাঝরাতেই সেখানে অভিযান চালানো হয়। প্রথমে দীপ্তজিতের বাড়িতে হানা দেয় এসটিএফের দল। সেখানে দীপ্তজিতকে ধরে লুকোনো অস্ত্র এবং কার্তুজের সন্ধান মেলে। উদ্ধার হয় একটি পিস্তল এবং বিপুল পরিমাণ গুলি। এখন জেরার মুখে পড়ে নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছে তারা। ধৃত দীপ্তজিৎ এবং কাজলকে আজ বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে।
এছাড়া এই দু’জনের অস্ত্র কারবারের সঙ্গে আরও কারা জড়িয়ে রয়েছে, ক্রেতারা কারা, সীমান্তের ওপারে বেআইনি অস্ত্র পাচার করতেই এসব জড়ো করা হয়েছিল? উত্তর খুঁজছে এসটিএফ। কাজল মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতেও হানা দিয়েছিল এসটিএফের দল। সেখান থেকেও অস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছিল। কাজল এবং দীপ্তজিতের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে বসিরহাট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তারা বহুদিন ধরে বেআইনি অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত এবং নিজের বাড়ি থেকেই এই কারবার চালাত জেরায় স্বীকার করেছে।