জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন অক্ষয় তৃতীয়ার দুপুরে। কিন্তু এখন থেকেই দিঘা জুড়ে যান নিয়ন্ত্রণের কড়াকড়ি চলছে। ফলে পর্যটকদের ভিড় কমেছে। জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনে দিঘায় পর্যটকদের ঢল নামবে মনে করেছিলেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। কিছু মাথায় হাত পড়েছে দিঘার হোটেল মালিকদের। কারণ দিঘা ঘিরে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করেছে পুলিশ। যেটা চলবে আগামীকাল ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। তার জেরে পর্যটকদের দিঘায় ঢুকতে অসুবিধা হবে এবং দিঘা থেকে বহু পর্যটককে ফিরতেও ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে বলে অভিযোগ। এই আবহে আগামীকাল বুধবার দিঘায় আসবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলে সূত্রের খবর। আজই মহাযজ্ঞ শুরু হচ্ছে।
এদিকে হাজার হাজার ভক্তের সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার দিঘার সমুদ্রতটে জগন্নাথদেবের প্রাণ প্রতিষ্ঠা এবং নব আবাসের দ্বারোদ্ঘাটন হবে। সেই মাহেন্দ্রক্ষণের সাক্ষী থাকবেন দেশ–বিদেশের বহু পর্যটক। আর সাক্ষী হতে আসছেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে পর্যটনের আন্তর্জাতিক মানচিত্রে একদম উপরের দিকে জায়গা করে নিতে চলেছে দিঘার জগন্নাথধাম। যা গতকালই বলেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর দিঘার জগন্নাথধামে আসবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্দিরের উদ্বোধন থেকে শুরু করে অনুষ্ঠান গোটা সময়ে থাকবেন তিনি বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনে আলোকিত দিঘা, পুনর্বাসন না পেয়ে অন্ধকারে ১৯টি পরিবার
অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীও জানিয়ে দিয়েছিলেন, মন্দির উদ্বোধনের দিন যানজটের কারণে মানুষের সমস্যা যেন না হয় তাই ২৮ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দিঘার মধ্যে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। আর পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই মাইকিং করে জানিয়ে দেওয়া হয়, শহরের ভিতর দিয়ে বাস, লরি, মোটরবাইক, টোটো, অটো–সহ কোনও গাড়ি যাতায়াত করা যাবে না। এমন অবস্থায় ধর্মীয় আচার পালন শুরু হয়েছে ২৫ এপ্রিল থেকে। পুরীর মন্দির থেকে আসা জগন্নাথদেবের ৫৭ জন সেবক, রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে আসা ইসকনের ১৭ জন সন্ন্যাসীর তত্ত্বাবধানে চলছে ধর্মীয় আচার। এবার সেখানে আসছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাছাড়া তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সারাদিনের অনুষ্ঠানে থাকবেন অভিষেক। আর বুধবার দিনই অভিষেক কলকাতায় ফিরে যাবেন। সব মিলিয়ে দিঘায় এখন উচ্ছ্বাস–উদ্দীপনার জোয়ার উঠেছে। তার প্রভাব পড়েছে বাংলার প্রত্যেকটি কোণে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দিকে এখন সকলেই তাকিয়ে। আর ১১৬বি জাতীয় সড়কে দিঘা প্রবেশের মুখে ব্যারিকেড দিয়ে শহরে যানবাহন ঢোকা বন্ধ করেছে পুলিশ। ওল্ড দিঘা ফরেস্ট রোডে এবং হাসপাতালের সামনে দু’টি বড় পার্কিং তৈরি হলেও কোনও গাড়িকে পার্কিং পর্যন্ত আসতে দিচ্ছে না পুলিশ। বাস, টোটো, অটো চলাচলও বন্ধ। সমস্ত বাস বাইপাস দিয়ে নিউ দিঘা ঘুরে ওড়িশা সীমানা পর্যন্ত চলছে।