গরুপাচার মামলা নিয়ে এখন সরগরম রাজ্য–রাজনীতি। এই মামলায় সাক্ষী দিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। এবার তাঁর উপর হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়ে অভিযুক্তরা প্রাণনাশের চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ। তার জেরে জখম হন নুরুল ইসলাম সরকার (৫০)। তাঁকে মালদা মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। এই ঘটনাটি ঘটেছে মালদার বামনগোলা থানার শ্যামলী পাড়া গ্রামে। তদন্ত শুরু করেছে বামনগোলা থানার পুলিশ।
ঠিক কী ঘটেছে মালদায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, এই হামলায় আক্রান্ত হয়েছেন নুরুল ইসলাম সরকার। তাঁর প্রতিবেশী জয়পুর ইসলাম, নুরুল শেখ–সহ ওই পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত বলে জানান তিনি। পুলিশ সেই তথ্য পেয়ে তল্লাশি চালায়। এরপর ওই পরিবারের বিষয়ে প্রতিবেশী নুরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাক্ষী দেন তিনি। যার ফলে তাঁর উপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে পাচারকারী পরিবার এবং হামলা করে। বৃহস্পতিবার রাতে অভিযুক্তরা নরুল ইসলাম সরকারের বাড়িতে ধারাল অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয়। নরুল ইসলাম সরকারকে কোপাতে থাকে তারা। বিষয়টি দেখতে পেয়ে তাঁর ছেলে বাধা দিলে তাঁকেও মারধর করা হয়। এরপর তাঁদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে আসতেই পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, এই গোটা ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বামনগোলা থানায়। গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকায় ওই পরিবারকে খুঁজছিল পুলিশ। আর এবার তাদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ যুক্ত হওয়ায় বিষয়টিতে গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। বামনাগোলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নরুল ইসলাম সরকারের পরিবারের সদস্যরা। এই গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে।