প্রায় ২ বছর পর নিজের বাড়ি ফিরে নিজের চেয়ারে বসে আবেগপ্রবণ হয়ে চোখের জল বাদ সাধল না অনুব্রত মণ্ডলের। মঙ্গবার দুপুরে দিল্লি থেকে কলকাতা হয়ে বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়িতে ফেরেন তিনি। বাড়ি ফিরে নিজের চেয়ারে বসে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। ছলোছলো চোখ দু’হাতে মুছতে দেখা যায় তাঁকে। ওদিকে বাইরে তখন চলছে উৎসব।
আরও পড়ুন - ‘পুজো কমিটিগুলিকে কম করে ১০ লক্ষ টাকা দিন’, অনুদান মামলায় রাজ্যকে বিচারপতি
পড়তে থাকুন - বোলপুরে ফিরলেন অনুব্রত, বললেন দিদির জন্য আমি আছি, বরাবর থাকব
২০২২ সালের ৮ অগাস্ট সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। ওই বছরই দোলের দিন তাঁকে দিল্লি নিয়ে যায় সিবিআই। ওদিকে সিবিআইয়ের সঙ্গে গরুপাচারকাণ্ডে অনুব্রতর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে ইডিও। সব মিলিয়ে ২ বছরের বেশি সময় দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি ছিলেন বীরভূমের কেষ্ট। দিল্লির আদালত থেকে জামিন পেয়ে মঙ্গলবার কাকভোরে কলকাতা বিমানবন্দরে ফেরেন তিনি। সেখান থেকে গাড়িতে পৌঁছন বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়িতে।
আরও পড়ুন - 'বাঁধ কেটে গ্রামে জল ঢুকিয়েছে TMC, বাঁধ মেরামতির ৪০ কোটি হজম করেছে তারা '
এদিন অনুব্রত আসার আগে থেকেই তাঁর বাড়ির সামনে ভিড় করেছিলেন অনুগামীরা। তিনি পৌঁছতেই মুহুর্মুহু স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। অনুব্রত গাড়ি থেকে নামতেই তাঁকে ঘিরে ধরেন ঘনিষ্ঠরা। এর পর ঘরে ঢুকে যান তিনি। বাড়ির নীচের তলায় অনুব্রতর দলীয় দফতর। সেখান থেকেই বীরভূমসহ বেশ কয়েকটি জেলা শাসন করতেন তিনি। সেই ঘরে ঢুকে নিজের ফেলে যাওয়া চেয়ারে বসেন অনুব্রত মণ্ডল। আর ফেলে যাওয়া চেয়ারে ফের বসতেই তাঁর ছল ছল করতে থাকে তাঁর চোষ। বুক ফেটে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করে অব্যক্ত আবেগ। কোনওক্রমে ঠোঁচ চেপে ধরে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন তিনি। তখন সামনেই বসে মেয়ে সুকন্যা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর পারেননি অনুব্রত। দুচোখ ভরে ওঠে জলে। দু’হাত দিয়ে চোখ মুছতে দেখা যায় অনুব্রতকে।