নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগকে কেন্দ্র করে বিতর্কে জড়াল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। অভিযোগ উঠেছে, নিয়ম না মেনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেসরকারি নিরাপত্তা বিভাগে এক মহিলা কর্মীকে নিয়োগ করা হয়েছে। এক সুপারভাইজারের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর জন্য এই চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছে, তাও কোনও বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই। বিষয়টি সামনে আসে, যখন ওই মহিলাকে উপাসনা গৃহে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। তা দেখেই ক্ষুব্ধ হন অন্যান্য নিরাপত্তারক্ষীরা। তাঁরা স্থানীয় বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার দফতরে পৌঁছে সরব হন এই নিয়োগের বিরুদ্ধেই। (আরও পড়ুন: কসবা ধর্ষণে অভিযুক্ত মনোজিতের 'অনুপ্রেরণা' গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই!)
আরও পড়ুন: গভীর রাতে বিশ্বভারতীর VC-র বাসভবনের সামনে ধরনা, নয়া দাবিতে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের
জানা যায়, এই নিয়োগের পিছনে ছিল একটি সুপারিশপত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বিভাগের এক আধিকারিক ওই চিঠিতে উল্লেখ করেন, এক মহিলা কর্মীর মৃত্যুর ফলে একটি পদ শূন্য হয়েছে এবং সেখানে একজন মহিলাকে নিয়োগে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। অভিযোগ, এই সুপারিশের উপর ভিত্তি করেই চাকরির অনুমোদনও মেলে। তবে এখানেই শেষ নয়। যাঁর পক্ষে সুপারিশ, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী নিরাপত্তা সুপারভাইজারের দ্বিতীয় স্ত্রী। এই ব্যক্তির প্রথম পক্ষের স্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন বৈবাহিক প্রতারণার বিষয়ে। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই সুপারভাইজারের বেশ কিছু সরকারি সুবিধা বন্ধ রাখা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। (আরও পড়ুন: দিল্লি গিয়েও মমতা বন্দনায় দিলীপ, 'দলত্যাগ' নিয়ে বিস্ফোরক প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি)
আরও পড়ুন: বেজায় চটেছেন মহুয়া, এবার 'শ্বশুরবাড়ি' বয়কটের হুঁশিয়ারি মহুয়ার
এই প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠছে যেখানে বহু প্রয়াত নিরাপত্তারক্ষীর পরিবার এখনও চাকরির আশায় রয়েছেন, সেখানে কীভাবে কোনও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই এই মহিলা নিয়োগ পেলেন? নিয়মের বাইরে গিয়ে এমন নিয়োগ আদৌ গ্রহণযোগ্য কি না, তা নিয়েই ক্ষোভ বাড়ছে কর্মীদের মধ্যে। বিক্ষোভের জেরে অবশেষে ওই মহিলাকে কাজ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও অফিসিয়াল প্রতিক্রিয়া মেলেনি। বিশ্বভারতীর অন্দরমহলে এই নিয়ে চাপা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। সুপারিশের জোরে বিশেষ সুবিধা আদায় এখন যেন সাধারণ ঘটনায় পরিণত হচ্ছে। অথচ স্বজন হারানো পরিবারগুলি বছরের পর বছর ধরে সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছেন।