উত্তাল সমুদ্রে স্নান করতে নেমে প্রাণ গেল দুজনের। এরমধ্যে একজন আলিপুর আদালতের আইনজীবী এবং অন্যজন নদিয়ার এক যুবক। দুটি পৃথক জায়গায় সমুদ্র স্নানে নেমে তলিয়ে যান দুজন। মন্দারমণি সৈকতে সঙ্গীদের সঙ্গে স্নান করতে নেমে তলিয়ে যান আইনজীবী দেবাশিস দত্ত (৪৭) অন্যদিকে ওড়িশার সীমানা ঘেঁষা উদয়পুর সমুদ্রসৈকতে প্রাণ হারান নবরূপ মোহান্ত (২১)।
আরও পড়ুন: রঙ খেলে জলে স্নান করতে নেমে দুই জেলায় তলিয়ে গেল ২ ভাই সহ ৪ জন
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার সার্ভে পার্ক থানার সন্তোষপুরের বিবেকানন্দ রোডের বাসিন্দা দেবাশিসবাবু। রবিবার প্রায় দু’শো জন আইনজীবীর সঙ্গে মন্দারমণিতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। আলিপুর জেলা ও দায়রা আদালত ছাড়াও বিভিন্ন আদালতের আইনজীবীরা ওই সফরে যোগ দেন। বিকেলে দলের কয়েকজন সমুদ্রে নামেন স্নানের জন্য। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, দেবাশিসবাবু কিছুটা গভীরে চলে গিয়েছিলেন। হঠাৎ ঢেউয়ের তীব্র ধাক্কায় তিনি জলে ভেসে যান। নুলিয়ারা দ্রুত ছুটে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে রামনগরের বড়রাঙ্কুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে চিকিৎসকেরা তখনই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে রাতেই মন্দারমণিতে পৌঁছে যান তাঁর স্ত্রী নীপান্বিতা দত্ত ও পরিবারের অন্য সদস্যরা। সোমবার কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর দেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে।
অন্যদিকে, একই দিন বিকেলে ওড়িশা সীমান্তবর্তী উদয়পুর সমুদ্রসৈকতে ঘটে দ্বিতীয় দুর্ঘটনা। নদিয়ার করিমপুর থানার আনন্দপল্লির বাসিন্দা নবরূপ মোহান্ত বন্ধুদের সঙ্গে সমুদ্রে নামেন স্নানের জন্য। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই স্রোতের টানে তিনি তলিয়ে যান। উদ্ধারের চেষ্টাও বিফল হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে পরিবারে। স্থানীয়দের অভিযোগ, পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত সতর্কীকরণ নেই সৈকতগুলিতে। নজরদারি বাড়ানোর দাবি তুলেছেন তাঁরা।