সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাসতালুক ডায়মন্ড হারবারে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে কিশোরীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল সাফাইকর্মীদের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে হাসপাতালের এক সাফাইকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় সরকারি হাসপাতালে নারী রোগীদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন - চাকরি বিক্রির ১৫ কোটি টাকা চেয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, চার্জশিটে জানাল CBI
পড়তে থাকুন - চাকরি বিক্রি করে আরও ১০০ কোটি তুলতে চেয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ, অভিষেকের ভাগে ২০ কোটি
জানা গিয়েছে, নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী শনিবার ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়। তাঁকে ফিমেল ওয়ার্ডের আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। অভিযোগ ওই রাতেই প্রথমবার শ্লীলতাহানির শিকার হয় কিশোরী। তার শ্লীলতাহানি করে এক সাফাই কর্মী। অভিযোগ, এর পর আরও এক সাফাই কর্মী কিশোরীর শ্লীলতাহানি করে। দফায় দফায় হাসপাতালের আইসিইউর মধ্যে নির্যাতনের শিকার হয় সে। অবশেষে মা-কে গোটা ঘটনা খুলে বলে কিশোরী। এর পর কিশোরীর মা কার্যত জোর করে মেয়েকে হাসপাতাল থেকে ছুটি করিয়ে বাড়ি নিয়ে চলে যান। মঙ্গলবার ডায়মন্ড হারবার থানায় ২ সাফাই কর্মীর বিরুদ্ধে মেয়েকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে রাতে ১ সাফাই কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যজন পলাতক।
আরও পড়ুন - 'বিশ্বকর্মা পুজোর ছুটি বাতিল করে ইদের ছুটি ২ দিন দিলেন ফিরহাদ সোহরাবর্দি হাকিম'
এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে, সরকারি হাসপাতালের ICUর ভিতরেও কি নিরাপদ নয় নাবালিকারা? আরজি কর কাণ্ডের পর সরকারি হাসপাতালে নারী সুরক্ষা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। তার পর একাধিক নাবালিকা নির্যাতনের ঘটনায় নিম্ন আদালতে ঝড়ের বেগে বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করে ফাঁসির সাজা আদায় করে এনেছে রাজ্য। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, তার পরও অপরাধীদের মনে ভয় ধরছে না কেন? তারা কি মনে করছে, এর পরেও পার পাওয়া সম্ভব?