ইরাকে আটকে পড়েছেন বাংলার ১২ জন পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁরা নামখানা, কাকদ্বীপ ও পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা। পরিবার এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শ্রমিকদের ভিসার মেয়াদ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে, কিন্তু তাঁদের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা বা বেতন দেওয়া হচ্ছে না। অভিযোগ অনুযায়ী, আটকে থাকা শ্রমিকদের ঠিকমতো খাবারও দেওয়া হচ্ছে না। বাড়ি ফেরার দাবি করলে তাঁদের শারীরিকভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে। ঘটনা ঘিরে উদ্বিগ্ন পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: পরিযায়ী শ্রমিকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার ফারাক্কায়, বাড়ি থেকে ডেকে খুনের অভিযোগ
পরিবারের অভিযোগ, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্থানীয় এজেন্টের মাধ্যমে নামখানার আটজন ও কাকদ্বীপের একজন শ্রমিক ইরাকের একটি কোম্পানিতে কাজ করতে গিয়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গে দু’বছরের চুক্তি হয়েছিল এবং ভিসার মেয়াদও দুই বছরই ছিল। কিন্তু এখন, ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও প্রায় আট মাস ধরে তাঁদের কাজ করানো হচ্ছে কিন্তু কোনও পারিশ্রমিক দেওয়া হচ্ছে না। এই অবস্থায় শ্রমিকরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে একটি ভিডিয়ো ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। ভিডিয়োটি সামনে পরই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ভিডিয়োতে শ্রমিকরা তাঁদের দুর্দশার কথা জানিয়েছেন। দ্রুত দেশে ফেরার জন্য প্রশাসনকে হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন।
আটকে থাকা শ্রমিকদের মধ্যে একজন শেখ হামিদুর। তাঁর স্ত্রী জাসমিনা বিবি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, প্রায় আট মাস ধরে স্বামীকে ইরাকে আটকে রাখা হয়েছে। খাবারের ব্যবস্থা নেই, অসুস্থ হলেও চিকিৎসা ও খরচ দেওয়া হচ্ছে না। মাঝেমধ্যেই স্বামী ফোনে কান্নাকাটি করছেন। তিনি এখন সংসার চালাতে পারছেন না। তিনি আরও জানান, রেমিট্যান্সের মাধ্যমেও পরিবারকে স্বামী অর্থ পাঠাতে পারছেন না।