আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টা থেকে দেড়টার মধ্যে পূর্ব বর্ধমানে আসছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার জন্য সমস্ত প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে জেলা প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল বয়েজ় স্কুল মাঠে সরকারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হবেন এবং একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন। এই সফর ঘিরে বিভিন্ন রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: কমিশনের চাপে একটু মাথা নোয়াল মমতা সরকার! ডায়মন্ডের ২ অফিসার-সহ ৭ IPS-র বদলিও হল
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুর ১টা থেকে দেড়টার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী সড়কপথে সভাস্থলে পৌঁছবেন। জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও অন্যান্য কর্মকর্তারা সভাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার তত্ত্বাবধান করেছেন। সফরের একাধিক প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে বর্ধমান-আরামবাগ সড়কে দামোদর নদীর উপর শিল্পসেতু ও ইডেন ক্যানালের উপর সেতু নির্মাণ। এছাড়া গুসকরা-আউশগ্রাম-ছোঁড়া সড়ক, কাটোয়া-করুই সড়ক এবং গলিগ্রাম-কুতরুকি-চণ্ডীপুর সংযোগ রাস্তার শিলান্যাসও সম্পন্ন হবে। ভাতার গ্রামীণ হাসপাতালকে ১২০ শয্যার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে উন্নীত করা হবে। এই সফরের সময় সকল প্রধান সড়কে বিশেষ যানচলাচল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সকাল ৯টা থেকে জিটি রোডসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ পথগুলোতে পণ্যবাহী যানবাহন নিয়ন্ত্রণ শুরু হয়েছে। সাধারণ যানবাহনের জন্য বিকল্প রুট ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং যানজট এড়াতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে সভামঞ্চ তৈরি হয়েছে। জামালপুর থানার আঝাপুর এলাকার স্কুল, বড়শুল পঞ্চায়েত অফিস, দীননাথ দাস হাইস্কুল এবং মহারানি অধিরানি বালিকা বিদ্যালয়সহ কিছু এলাকায় বৈঠক হতে পারে। প্রশাসন জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী ঠিক কোন স্থানে উপস্থিত হবেন তা শেষ মুহূর্তে চূড়ান্ত করা হবে।
সফরের মধ্য দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিম বর্ধমান জেলায় প্রথমবারের মতো নিজস্ব পুলিশ কমিশনারেট অফিস ও জেলাশাসকের প্রশাসনিক ভবনের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করবেন। এছাড়াও শতাধিক জমিহারা পরিবারকে পাট্টা প্রদান এবং একাধিক রাস্তা ও জল সরবরাহ প্রকল্পের শিলান্যাস সম্পন্ন হবে। সফরের প্রাক্কালে প্রশাসন শহরের যান চলাচল ও নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করেছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, যান নিয়ন্ত্রণের ফলে শহরের স্বাভাবিক চলাচলে কিছু অস্থায়ী অসুবিধা থাকলেও দীর্ঘমেয়াদি সুবিধা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।