সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছিল পূর্ব বর্ধমান জেলার এক এএসআইয়ের বিরুদ্ধে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের ঠিক আগেই এবার ওই অফিসারকে নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করল জেলা পুলিশ। জেলার অভিযুক্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর (এএসআই) দেবাশিস কুমার দে-কে সাসপেন্ড করা হল। তাঁকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কমিশনের চাপে একটু মাথা নোয়াল মমতা সরকার! ডায়মন্ডের ২ অফিসার-সহ ৭ IPS-র বদলিও হল
অভিযোগ, সোমবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থল, বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল বয়েজ় স্কুলের মাঠে সাংবাদিকরা প্রস্তুতি দেখতে গিয়ে ছবি তুলছিলেন। সেই সময় উপস্থিত ছিলেন পরিদর্শনকারী জেলাশাসক আয়েশা রানি এ এবং জেলা পুলিশের সিনিয়র আধিকারিকরা। এএসআই দেবাশিস কুমার দে-কে এক চিত্র সাংবাদিককে জোর করে হাত ধরে বের করে দেন বলে অভিযোগ। তার ভিডিয়ো সামনে আসে। ঘটনার ভিডিয়ো দ্রুত সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় (যদিও ভাইরাল ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্থান টাইমস বাংলা)। তারপর এএসআইয়ের আচরণকে কেন্দ্র করে তীব্র নিন্দা শুরু হয়। সাংবাদিক মহল এবং নেটিজেনরা একই সঙ্গে সোশাল মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়া জানান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মঙ্গলবার সকালেই দেবাশিস কুমার দে-কে চিহ্নিত করে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এএসআইকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করে রাখা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন জনসভায় বারবার পুলিশের দায়িত্ব ও জনসংযোগের ধরন নিয়ে সতর্কবার্তা দেন। তিনি আশা করেন, পুলিশ জনতার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ বজায় রাখবে এবং কোনওরকম দুর্ব্যবহার ঘটাবে না। তবুও, মুখ্যমন্ত্রীর সফরের সময় খবর সংগ্রহে যাওয়া সাংবাদিকদের সঙ্গে এএসআইয়ের এই আচরণকে মেনে নেয়নি জেলা পুলিশ। তাঁদের বক্তব্য, এ ধরনের আচরণ যাতে আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে, তার জন্য তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।সাংবাদিক ও সাধারণ জনমতকে নিরাপদ এবং তথ্যপ্রাপ্তিতে সহযোগিতামূলক পরিবেশ নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জেলা পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ জানায়, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা এবং কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা তাদের অগ্রাধিকার।