দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী থানার জামবাড়ি এলাকায় ঘটল মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা। জাতীয় সড়কে বোলেরো গাড়ি, পিকআপ ভ্যান এবং একটি সরকারি বাসের ত্রিমুখী সংঘর্ষে প্রাণ গেল অন্তত তিনজনের। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দশজন যাত্রী। রবিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। (আরও পড়ুন: কীভাবে করা হয়েছিল ধর্ষণের ভিডিয়ো? কসবাকাণ্ডের চার্জশিটে বিবরণ দিল পুলিশ)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশিদের পুশ ব্যাক নিয়ে টানাপোড়েনের মাঝেই আজ ঢাকায় বৈঠকে বসবে BSF-BGB
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওল্ড মালদার মাধাইপুর এলাকা থেকে বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা তিনটি বোলেরো গাড়ি ভাড়া করে ঠ্যাঙাপাড়া যাচ্ছিলেন দিবারাত্রি ফুটবল ম্যাচ দেখতে। প্রথম দুটি গাড়ি নিরাপদে চলে গেলেও, তৃতীয় বোলেরোটি মালদাগামী একটি পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কা খায়। সেই সময় বোলেরোর ঠিক পেছনে বালুরঘাটগামী একটি সরকারি বাস চলছিল। হঠাৎ সামনের দুর্ঘটনা এড়াতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারায় বাসটি। ফলে বোলেরোর পেছনে সজোরে ধাক্কা মেরে রাস্তার পাশের নয়নজুলিতে গিয়ে পড়ে পিকআপ ভ্যান ও বাস দুটোই। মুহূর্তে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় বোলেরোটি। দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে। পরে গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজন মারা যান। মৃতদের মধ্যে একজন নাবালকও রয়েছে। আহতদের মধ্যে চারজনকে গুরুতর অবস্থায় গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতাল ও মালদা মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়েছে। বাকিরা রসিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অকস্মাৎ দুর্ঘটনায় ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কে দীর্ঘক্ষণ যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ ও উদ্ধারকর্মীরা গাড়িগুলি কেটে ফাঁসিয়ে দেন আটকে পড়া যাত্রীদের। বাসের যাত্রীদেরও অনেকেই সামান্য আহত হয়েছেন। (আরও পড়ুন: ঠাকুরবাড়িতে নয়া বিতর্ক, চিড় BJP-তে? সুব্রত-শান্তনু দ্বন্দ্বে কার পাশে মমতাবালা)
গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, এখনও পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মৃতদের মধ্যে একজন নাবালকও রয়েছে। কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল এবং ঠিক কার গাফিলতিতে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, মৃত ও আহতদের সবার বাড়ি ওল্ড মালদার মাধাইপুর গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই জাতীয় সড়কের ওই অংশে নিয়মিত দুর্ঘটনা ঘটে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত রাস্তার নিরাপত্তা বাড়াতে কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।