এটা আমার জীবনে খেলা সেরা ইনিংসগুলির মধ্যে একটি : কোহলি

রোহিত-রাহুলের ওপেনিং জুটিতে স্কোরবোর্ডে ১৩৫ রান জমা হওয়ায় ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে বড় রানের আভাস পেয়ে যায় ভারত। পরে কোহলির ২৯ বলে ৭০ রানের ঝোড়ো ইনিংস টিম ইন্ডিয়াকে রানের পাহাড়ে উঠতে সাহায্য করে। পাহাড়প্রমাণ ভারতের ২৪০ রান তাড়া করতে নেমে ১৭৩ রানে থেমে যান কায়রন পোলার্ডরা। আর তাতেই ৬৭ রানে মুম্বই ম্যাচ জিতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নেন বিরাট কোহলিরা।পুরো টি-২০ সিরিজে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন বিরাট। তিন ম্যাচে ১৮৩ রান করেছেন তিনি। তাঁর এই পারফরম্যান্সের জন্য দেওয়া হয় ম্যান অফ দ্যা সিরিজের খেতাবও। সেখানে কোহলি স্বীকার করে নেন বুধবারের ওয়াংখেড়েতে খেলা ইনিংসটি তাঁর জীবনে খেলা সেরা ইনিংসগুলির মধ্যে একটি ছিল। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এই ধরনের পারফরম্যান্স সামনের বিশ্বকাপের জন্য তাঁকে যথেষ্ট অনুপ্রাণিত করেছে।আগে ব্যাট করে মারমুখি মেজাজে ব্যাটিং করার ব্যাপারে ৩১ বছর বয়েসি কোহলি বলেন, ‘আগে ব্যাটিং করার ব্যাপারে আমরা নিজেদের মধ্যে অনেক আলোচনা করেছিলাম। এটা আমাদের কাছে মাঠে শুধু করে দেখানোর বাকি ছিল। রাহুলকে বলেছিলাম, একদিক ধরে রেখে ওকে লম্বা একটা ইনিংস খেলতে হবে।’একটু থেমে, ‘এটা ভীষণ একটা স্পেশাল ইনিংস ছিল এবং আমাদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকীর এটা একটা বিশেষ উপহার ছিল। এটা আমার কাছে বিশেষ একটা রাত ছিল, একই সঙ্গে এখনও পর্যন্ত আমার জীবনে খেলা সেরা ইনিংসগুলির মধ্যে একটি ছিল। আগে ব্যাটিং করে আমরা জয় পেয়েছি, সত্যি খুব খুশি হয়েছি।’কোহলি আরও বলেন, ‘সামনে বিশ্বকাপ আসতে চলেছে, এর আগে আমি যথেষ্ট অনুপ্রাণিত হয়েছি। আমার ভূমিকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দুটো ভূমিকায় আমাকে খেলতে হয়। যখন আপনি দীর্ঘ সময় টি-২০ খেলছেন না, তবুও দলের প্রয়োজনে এমন সব ইনিংস খেলেন, এর অনুভুতি খুব স্পেশাল।’ওয়াংখেড়েংতে রোহিত ও রাহুলের ব্যাটিংয়ের প্রশংসায় নেতা কোহলির সংযোজন, ‘আমি মনে করি রাহুল ও রোহিত যেভাবে খেললো, সেটাই আমাদের জয়ের অন্যতম কারণ ছিল। আগে ব্যাটিং করতে আমরা সংকোচ বোধ করছিলাম, কিন্তু পিচ আমাদের স্বাধীনভাবে খেলার সুযোগ করে দিল। এটা সত্যি আমাদের জন্য ভালো একটা শিক্ষা ছিল এবং এটা আমাদের মনে রাখার প্রয়োজন রয়েছে।’টি-২০ ক্রিকেটে বাউন্ডারি নেওয়ার গুরুত্ব বোঝাতে কোহলি জানান, ‘এটা নির্ভর করে যে আপনি কোন পিচ আর কোন মাঠে খেলছেন। আপনি মোটেও চাপ অনুভব করবেন না যখন আপনি স্কোরবোর্ডে ২০-২৫ রান তুলে ফেলেছেন। অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে আগে আমাদের বুঝতে হবে সেখানকার বাউন্ডারি ঠিক কত বড়ো।’