ডেভিড ওয়ার্নার বলেন, ‘শুরুতে বলটি অনেকটা সুইং করছিল। এ থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি। এই মাঠে আমাদের আরও ছয়টি ম্যাচ খেলতে হবে। তবে আমাদের বোলাররা ম্যাচে ভালো বোলিং করেছে। এই ম্যাচে আমরা এক সময় ছিলাম, কিন্তু সুদর্শন খুব ভালো ব্যাটিং করেছে।’
ডেভিড ওয়ার্নার (ছবি-পিটিআই)
গুজরাট টাইটানসের বিরুদ্ধে ৬ উইকেটে পরাজয় বরণ করেছে ডেভিড ওয়ার্নারের নেতৃত্বে দিল্লি ক্যাপিটালস। এই পরাজয় ছিল দিল্লি দলের এই মরশুমে টানা দ্বিতীয় পরাজয়, যেখানে দিল্লি দলের ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স বিশেষ কিছু ছিল না। অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার, সরফরাজ খান ও অক্ষর প্যাটেল ছাড়া আর কোনও ব্যাটসম্যানই বেশি রান করতে পারেননি। যেখানে, দিল্লির দেওয়া ১৬৩ রান তাড়া করতে নেমে ১৮.১ ওভারেই লক্ষ্য অর্জন করে গুজরাট টাইটানস। গুজরাট দলের জয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন ডেভিড মিলার, সাই সুদর্শন এবং বিজয় শঙ্কর। এই ম্যাচে হারের পর, ডেভিড ওয়ার্নারকে বেশ হতাশ দেখাচ্ছিল। আসুন জেনে নেওয়া যাক ম্যাচ হেরে ডেভিড ওয়ার্নার কি বললেন?
আসলে, আইপিএল ২০২৩-এর সপ্তম ম্যাচে গুজরাট টাইটানসের কাছে শোচনীয় পরাজয়ের পর দলের দুর্বলতা নিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। এই সময় ডেভিড ওয়ার্নার বলেন, ‘শুরুতে বলটি অনেকটা সুইং করছিল। এটা সম্পর্কে আমার কোন ধারণা ছিল না। আমরা জানি যে পাওয়ারপ্লেতে উইকেট হারানো চাপ তৈরি করে, যা প্রতিপক্ষ দল কীভাবে তারা কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছে তা সম্পূর্ণরূপে প্রদর্শন করেছে। এ থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি। এই মাঠে আমাদের আরও ছয়টি ম্যাচ খেলতে হবে। তবে আমাদের বোলাররা ম্যাচে ভালো বোলিং করেছে। এই ম্যাচে আমরা এক সময় ছিলাম, কিন্তু সুদর্শন খুব ভালো ব্যাটিং করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘শিশিরের সময়ে আপনি যদি ১৮০-১৯০ না পান তবে এটি চ্যালেঞ্জিং হবে। উইকেটের কারণেই অক্ষরকে বোলিং দেওয়া হয়নি।’
এই ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের শুরুটা খারাপ হয়েছিল। দিল্লি দলের ওপেনার পৃথ্বী শ-এর উইকেট নেন মহম্মদ শামি। এ সময় ৭ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন পৃথ্বী শ। এরপর মিচেলও ৪ রান করে সস্তায় আউট হন। দিল্লি দলের অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার দলের ইনিংস সামলান এবং ৩২ বলে ৭টি চারের সাহায্যে ৩৭ রান করেন। দলের রান যখন ৬৭ ছিল তখন তাঁর উইকেট হারায় দিল্লি।
এই স্কোরে রিলি রুশোকে খাতা না খুলেই প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান জোসেফ। এ দিকে সরফরাজ খান উইকেটে ৩০ রান করেন এবং অভিষেক হওয়া অভিষেক পোড়েল ২০ রানের ইনিংস খেলেন। এছাড়া অক্ষর প্যাটেল ৩৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে ১৬২ রানে পৌঁছে দেন। এরপর ১৬৩ রান তাড়া করতে নেমে ১৮.১ ওভারেই লক্ষ্য অর্জন করে গুজরাট টাইটানস। দলের জয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন ডেভিড মিলার, সাই সুদর্শন ও বিজয় শঙ্কর।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।