
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
সম্প্রতি ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিয়েছেন ভেনিজুয়েলার জাতীয় দলের ফুটবলার রিচার্ড সেলিস। ২৮ বছর বয়সী এই ফরওয়ার্ড নিজের প্রথম দুই ম্যাচেই জাত চিনিয়েছেন। বল গোলের ভিতরে ঢোকাতে এখনও না পারলেও তিনি যে লালহলুদের আগামী দিনের বড় ভরসাই হয়ে উঠতে পারেন, সেই পূর্বাভাসও দিয়ে দিয়েছেন এই ফরওয়ার্ড কাম উইঙ্গার।
শুক্রবার ইস্টবেঙ্গলের প্রতিপক্ষ অ্যাওয়ে ম্যাচে মুম্বই সিটি এফসি। বিপক্ষে মাঠে গিয়ে পয়েন্ট ছিনিয়ে আনার কাজটা যে কঠিন হবে তা জানেন লালহলুদ কোচ। ম্যাচের আগে সাংবাদিক সম্মেলনে অবশ্য তিনি একদমই মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে দিলেন না ফুটবলারদের। হিজাজি, ক্লেইটন, সাউলদের চোটের মধ্যেও যারা আছে তাঁদের নিয়েই লড়তে প্রস্তুত ব্রুজো। তাঁ সঙ্গেই সাংবাদিক সম্মেলনে এসেছিলেন রিচার্ড সেলিস।
ভারতীয় ফুটবলের মান দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছেন ভেনিজুয়েলার জাতীয় দলের ফুটবলার রিচার্ড। যেখানে ভারত প্রথম ১০০র মধ্যেই ঢুকতে হিমসিম খায় অধিকাংশ সময় সেখানে সেলিসের দেশ ভেনিজুয়েলা বর্তমানে রয়েছে ফিফা ক্রমতালিকায় ৪৭ স্থানে। তবে ইস্টবেঙ্গলের খেলার অভিজ্ঞতা থেকেই ভেনিজুয়েলার এই ফুটবলার বলে গেলেন, তিনি ভাবতেও পারেননি ভারতে এত ভালোর মানের ফুটবল হয়।
ভারতে আসার আগে স্বদেশি মিকুর সঙ্গে খেলছিলেন ক্লাব ফুটবলে। মিকু আবার কয়েক বছর আগে বেঙ্গালুরু এফসির হয়ে খেলতে এসে দাপিয়ে গেছে ভারতীয় ফুটবল। তার কাছ থেকে খুটিনাটি জানার পর যখন ইস্টবেঙ্গলের প্রস্তাব আসে, তখন আর খুব বেশি ভাবেননি সেলিস। নিজের ফুটবল জীবনে অ্যাকাদেমিয়া পুয়ের্তো ক্যাবেলো, দিপোর্টিভো জেবিএলের মতো বড় দলে খেলা সেলিস তাই তৈরি হন ভারতে আসার চ্যালেঞ্জ নিতে।
লালহলুদের এই ফুটবলার আগে কোপা আমেরিকা, বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ম্যাচেও খেলেছেন। ফলে তাঁর প্রোফাইল যে ভারতীয় ফুটবলের নিরিখে অনেকটাই ওপরে তা বলাই বাহুল্য। সেই সেলিসই ভূয়সী প্রশংসা করছে এদেশের ফুটবলের। সেলিস বলছেন, ‘আমি মিকুর সঙ্গে যখন গতবছরে খেলতাম তখন ওর থেকে জানার চেষ্টা করতাম ভারতীয় ফুটবল ঠিক কেমন। তারপরই ইস্টবেঙ্গলের থেকে প্রস্তাব এসেছিল। এরপর আরও খোঁজখবর নেওয়া শুরু করি এদেশের ফুটবলের। এখানে এসে আমি কলোম্বিয়ার ফুটবলের সঙ্গে তেমন কোনও পার্থক্য খুঁজে পাইনি। এখানেও বল নিয়ে দ্রুত ওঠা নামা হয়, শারীরিক ক্ষমতারও যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। ’।
সেলিস আরও বলেন, ‘আমি আইএসএলে খেলার মান দেখে কিছুটা অবাকই হয়েছি, মানে এতটা উচ্চমানের হবে সেটা আসার আগে ভাবতে পারিনি। তবে আমি আগে যে দেশে খেলেছি সেখানে মূলত মাঝমাঠ নির্ভর ফুটবল হয়, আগেই পজেশনাল ফুটবল খেলে বল দখলে রাখার চেষ্টা হয়, এরপর খেলা চালনা করা হয়। আমি ইস্টবেঙ্গলে যখন এসেছি, তখন এবছর না হলেও আগামী বছর অন্তত দেশের নাম উজ্জ্ব করে ক্লাবকে চ্যাম্পিয়ন করতে চাই ’।
প্রিয় ফুটবলার কারা? সেলিস বলছেন, ‘আমি রোনাল্ডো আর নেইমারের খেলা খুব ভালোবাসি। সাধনা বা মানসিকতার দিক থেকে রোনাল্ডোর খেলা আমার সব সময় ভালো লাগে। ওর মধ্যে একটা জেতার খিদে আছে। আর টেকনিকের দিক থেকে নেইমারের খেলাও আমার খুব মনে ধরে। আমার আর নেইমারের পজিশন এক হওয়ায়, ওর খেলা থেকে শেখার চেষ্ট করি। ’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports