কিলিয়ান এমবাপের দল পরিবর্তন নিয়ে ধুন্ধুমার পিএসজি-রিয়ালের মধ্যে

বর্তমান বিশ্বের মতান্তরে সেরা প্রতিভা ও ফুটবলারকে দলে নিতে কে না চায়। তাই কিলিয়ান এমবাপেকে দলে নিতে স্বাভাবিকভাবেই মরিয়া রিয়াল মাদ্রিদ। অপরদিকে ফরাসি তারকাকে দলে রাখা আর সম্ভব নয়, সেই কথা কার্যত মেনে নিলেও নিজের পছন্দমতো পরিস্থিতিতেই তাঁকে দল থেকে ছাড়া হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে প্যারিসি সাঁ-জাঁ (পিএসজি)। এই নিয়েই লেগে গেল দুই হেভিওয়েট ক্লাবের মধ্যে।এমবাপেকে দলে নিতে ইতিমধ্যেই রিয়ালে ১৮৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রথম অফিসিয়াল বিড নাকচ করে দিয়েছে পিএসজি। তবে তাঁকে সঠিক মূল্যে দল ছাড়তে দিতে ও এই বিষয়ে আলোচনা করতে রাজি প্যারিসের ক্লাব। এতদিন এমবাপেকে বিক্রি না করার কথা সাফ জানিয়ে দিলেও পিএসজির মেনে নিয়েছে যে ফরাসি ফরোয়ার্ড দল ছাড়তে আগ্রহী।RMC Sport-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লিওনার্দো জানান, ‘কিলিয়ান এমবাপে দল ছাড়তে আগ্রহী এবং সেটা আমার কাছে খুবই স্পষ্ট। রিয়াল মাদ্রিদ ঠিকঠাক অফার দিলেও সবটা ঠিক আছে। আমরা ট্রান্সফার উইন্ডোর শেষ সপ্তাহ এসে নিজেদের পরিকল্পনা সম্পূর্ণ বদলে ফেলতে পারি না। ও যদি দল ছাড়তে চায়, তাহলে আমরা ওকে বাঁধা দেব না, কিন্তু সবটাই হবে আমাদের সুবিধামতো।’ তবে রিয়ালের অফার করা মূল্যে একেবারেই সন্তুষ্ট নন পিএসজি কর্তারা। তারা মনে করছেন এখন থেকে ভুলিয়ে ভালিয়ে পরের মরশুমে এমবাপের চুক্তি শেষ হলে তাঁকে ফ্রিতে সই করার লক্ষ্যেই রয়েছে রিয়াল।রিয়ালের বিড নাকচ করার কথা জানিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি লস ব্ল্যাঙ্কোসের ব্যবহারে ক্ষুব্ধ পিএসজির স্পোর্টিং ডিরেক্ট লিওনার্দো। ‘রিয়াল যে পরিকল্পনার সঙ্গে এগোচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে ওরা আমাদের থেকে না শুনতেই ইচ্ছুক, যাতে ওরা এমবাপেকে এক বছর পর ফ্রিতে সই করতে পারে। দুই বছর ধরে রিয়াল এমন ব্যবহার করে আসছে। এটা উচিত তো নয়ই, বরং অবৈধও। কারণ ওরা ফুটবলারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেছে (ক্লাবের অনুমতি ছাড়াই)। এটা কোনভাবেই মানা যায়না।’ দাবি ব্রাজিলিয়ানের।২২ বছর বয়সী এমবাপের রিয়াল প্রীতির কথা সকলেই জানেন। ছোট থেকেই তিনি যে তাঁর আইডল জিনেদিন জিদানের মতো স্প্যানিশ ক্যাপিটালে খেলতে চান তা বহু বছর ধরেই পরিস্কার। তাই এমবাপের রিয়ালে যোগ দেওয়ার জল্পনা বহুদিনের। তবে পুরো ঘটনা নিয়ে পিএসজির ব্যবহারে ক্ষুব্ধ রিয়াল কর্তারাও। হোসে ম্যানুয়েল মরোনোর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রিয়াল প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্টিনো পেরেজ দাবি করেন, ‘ওরা (পিএসজি) খুবই রূঢ়ভাবে নিজেদের জবাব জানিয়ে দিয়েছে। আসন্ন দিনগুলো বেশ কঠিন হতে চলেছে সেই বিষয়ে নিশ্চিত থাকা উচিত।’ সব মিলিয়ে এমবাপের দল বদল নিয়ে সরগরম ইউরোপীয় ফুটবলমহল।