পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে এমবাপের গোলে ১-১ ড্র ফ্রান্সের, গ্রুপের সেকন্ড বয় কন্তেরা

চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরেই দলকে গোল এনে দিলেন ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপে, যদিও তাঁর দল পোল্যান্ডের সঙ্গে ড্র করল ১-১ গোলে। প্রথম দুই ম্যাচেই লজ্জার রেকর্ড গড়েছিল ফ্রান্স। অস্ট্রিয়া ম্যাচে ফরাসি ফুটবলারদের পা থেকে গোল আসেনি। আত্মঘাতি গোল করেছিল অস্ট্রিয়া, সেই সৌজন্যে জিতেছিল ফ্রান্স। পরের ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে ম্যাচ ড্র হয়। শেষ দিকে নেদারল্যান্ডস গোল করে ফেলেও তা বাতিল হয়েছিল। অর্থাৎ পোল্যান্ড ম্যাচের আগে পর্যন্ত এবারের ইউরো কাপে ফ্রান্সের কোনও প্লেয়ার গোলের দেখাই পাননি। অবশেষে ফরাসি ফুটবলারদের গোলের খরা কাটালেন সেই কিলিয়ান এমবাপেই। পেনাল্টি থেকে গোল করেন রিয়াল মাদ্রিদে সদ্য সই করা এই ফরাসি স্ট্রাইকার।আরও পড়ুন-ক্রিকেট খেলা শুরুই করেছি ভারতের হয়ে খেলব বলে! দলে ডাক পেয়ে বললেন একদা ‘অভিমানী’ রিয়ান৬ মিনিটে জিয়েলিনস্কির শট বাঁচিয়ে দেন ফরাসি গোলরক্ষক মাইগন্যান। ১৫ মিনিটে কর্নার থেকে বল পেয়ে যান জাইমানস্কি, জোড়ালো শট সরাসরি ফরাসি গোলরক্ষের হাতে চলে যায়। এর ৪ মিনিট পরই কন্তের পাশ থেকে একা গোলরক্ষককে পেয়েও গোল করতে পারেননি ফরাসি উইংগার ডেম্বেলে। ৪২ মিনিটে ফরাসি স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপে বুদ্ধিদিপ্তভাবে বল জালে জড়ানোর চেষ্টা করেন কিন্তু তা সেভ করে দেন পোল্য়ান্ডের গোলরক্ষক। ৪৫ মিনিটে এমবাপে ওয়ান ইজ টু ওয়ান পজিশনে গোলরক্ষকে পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন, দলের পতন রোধ করেন পোলিশ গোলরক্ষক স্কোরুপস্কি।আরও পড়ুন-অস্ট্রেলিয়া তো সেমিতে যাবেই, হম্বিতম্বি করেছিলেন কামিন্স, মনে করালেন আফগান ক্রিকেটারলেমন ব্রেকের চার মিনিট পর ফের গোল করার সুযোগ তৈরি করে ফ্রান্স। এক্ষেত্রেও ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন সেই স্কোরুপস্কি। শট সেভ দেন পোলিশ গোলরক্ষক, এগিয়ে যাওয়া থেকে বঞ্চিত হয় ফ্রান্স। ৫৫ মিনিটে ডেম্বেলেকে বক্সের ভিতর ফাউল করায় পেনাল্টি পায় ফ্রান্স। স্পট কিক থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দিতে কোনও ভুলই করেননি ফ্রান্সের অধিনায়ক কিলিয়ান এমবাপে। গোল করেই মাস্ক খুলে সেলিব্রেশন করতে দেখা যায় এই তারকা স্ট্রাইকারকে। ৬১ থেকে ৭০ মিনিটের মধ্যে ফ্রান্সের কোচ তিনটি পরিবর্তন করলেও এমবাপেকে তোলেননি তিনি তখনও। কারণ নকআউট স্টেজ শুরুর আগে ফরাসি স্ট্রাইকারকে খেলার মধ্যেই রাখতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে ৭৯ মিনিটেই হয় ছন্দপতন। পেনাল্টি পায় পোল্যান্ড। সেখান থেকেই গোল করে দলকে সমতায় ফেরান রবার্ট লেওনডোস্কি।আরও পড়ুন-একটা ক্যাচই বদলে দিয়েছিল ম্যাচের মোড়! মার্শকে সাজঘরে ফিরিয়ে সেরা ফিল্ডার অক্ষরএই ড্রয়ের ফলে ফ্রান্সের পরের রাউন্ড নিশ্চিত হয়ে গেলেও এখনও তাঁদের প্রতিপক্ষ নিশ্চিত হয়নি। এবারে ইউরোয় সেরকম তরতাজা দেখাচ্ছিল না গত দুটি বিশ্বকাপের ফাইনালিস্টদের। গ্রুপের শেষ ম্যাচে এসেও ধারা বদলালো না। ফলে রাউন্ড অফ সিক্সটিনের আগে দলের কোচের মাথা ব্যাথা বাড়ল।