বাংলা নিউজ > ময়দান > BAN vs AFG: আফগানদের ৬৬২ রানের লক্ষ্য দিয়ে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে নয়া অধ্যায় রচনা করল বাংলাদেশ
পরবর্তী খবর
BAN vs AFG: আফগানদের ৬৬২ রানের লক্ষ্য দিয়ে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে নয়া অধ্যায় রচনা করল বাংলাদেশ
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 16 Jun 2023, 09:26 PM ISTTania Roy
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ এর আগে সর্বোচ্চ লক্ষ্য রেখেছিল জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে। ২০২১ সালের জুলাইয়ে জিম্বাবোয়ের সামনে ৪৭৭ রানের লক্ষ্য রেখেছিল বাংলাদেশ। সেটা এত দিন ছিল তাদের নজির। সেই নজির মিরপুরে ছাপিয়ে গেল লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন টিম।
ম্যাচের রাশ পুরোটাই এখন বাংলাদেশের হাতে।
ম্যাচ জেতার জন্য আফগানিস্তানকে ৬৬২ রানের লক্ষ্যে দিয়েছে বাংলাদেশ। যা টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে তাদের দেওয়া সর্বোচ্চ লক্ষ্যের নজির। বাংলাদেশ- আফগানিস্তানের মধ্যে মিরপুরে একমাত্র টেস্ট খেলা হচ্ছে। যে ম্যাচ আফগান বোলারদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করছে বাংলাদেশ।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৩৮২ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল। জবাবে আফগানিস্তান ব্যাট করতে নামলে, বাংলাদেশ আবার তাদের ১৪৬ রানে অলআউট করে দেয়। ২৩৬ রানে এগিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্য়াট করতে নামে বাংলাদেশ। ৪ উইকেট হারিয়ে ৪২৫ রানে তারা ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করে। ৬৬১ রানের লিড নিয়ে তারা চাপে ফেলে দেয় আফগানিস্তানকে। পাহাড় প্রমাণ ৬৬২ রান তাড়া করতে নেমে কিন্তু বেকায়দায় আফগানিস্তান। তারা ইতিমধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে বসে রয়েছে। তৃতীয় দিনের শেষে তাদের স্কোর ২ উইকেটে ৪৫ রান।
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশ এর আগে সর্বোচ্চ লক্ষ্য রেখেছিল জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে। ২০২১ সালের জুলাইয়ে জিম্বাবোয়ের সামনে ৪৭৭ রানের লক্ষ্য রেখেছিল বাংলাদেশ। সেটা এত দিন ছিল তাদের নজির। সেই নজির ছাপিয়ে গেল লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন টিম। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ লক্ষ্য রাখার রেকর্ড রয়েছে ইংল্যান্ডের দখলে। ব্রিটিশরা ১৯৩০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৮৩৬ রানের বিশাল লক্ষ্য রেখেছিল।
মিরপুরের দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে জোড়া শতরান করেন নাজমুল হোসেন শান্ত এবং মোমিনুল হক। নাজমুল টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করে দুর্দান্ত ব্যক্তিগত নজির গড়ে ফেলেছেন। প্রথম ইনিংসে ২৩টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১৭৫ বলে ১৪৬ রান করেছিলেন শান্ত। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি ১৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৫১ বলে ১২৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
প্রথম ইনিংসে ১৫ রানে আউট হওয়া মোমিনুল হক দ্বিতীয় ইনিংসে ১২টি চার এবং ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৪৫ বলে ১২১ রান করে অপরাজিত থাকেন। এটি তাঁর টেস্ট ক্যারিয়ারের ১২ নম্বর শতরান। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের হয়ে সব থেকে বেশি টেস্ট সেঞ্চুরি করেছেন মোমিনুলই।
লিটন দাস প্রথম ইনিংসে মাত্র ৯ রান করে আউট হয়েছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি অধিনায়কোচিত হাফ-সেঞ্চুরি করেন। ৮টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৮১ বলে ৬৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া হাফ-সেঞ্চুরি করেন ওপেনার জাকির হাসান। তিনি ৮টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৯৫ বলে ৭১ রান করে আউট হন। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ৮০ ওভার ব্যাট করে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ৪২৫ রান তুলে ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।