পরবর্তী খবর
OBC Creamy Layer News: ওবিসি সংরক্ষণে 'ক্রিমি লেয়ার' নির্ধারণে 'বেতন'-এর ভূমিকা থাকবে কি? সিদ্ধান্ত নিতে ফের বৈঠক
2 মিনিটে পড়ুন . Updated: 16 Nov 2024, 04:50 PM IST
Share 
বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > OBC Creamy Layer News: ওবিসি সংরক্ষণে 'ক্রিমি লেয়ার' নির্ধারণে 'বেতন'-এর ভূমিকা থাকবে কি? সিদ্ধান্ত নিতে ফের বৈঠক
Share অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণী বা ওবিসি সংরক্ষণ প্রদানের ক্ষেত্রে 'ক্রিমি লেয়ার' চিহ্নিত করা হবে কীভাবে? সেই বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছতেই চলতি মাসে আরও একটি বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, যদি কোনও পরিবার ওবিসি-র আওতায় থাকা সত্ত্বেও আর্থিকভাবে বাকিদের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী হয়, কিংবা সমাজে বাকিদের তুলনায় ক্ষমতাশালী অবস্থানে আসীন থাকে, তাহলে সেই পরিবারের পরবর্তী প্রজন্ম এই 'ক্রিমি লেয়ার'-এর অন্তর্ভুক্ত হবে।
অর্থাৎ, খাতায়-কলমে পিছিয়ে পড়া সামাজিক শ্রেণির প্রতিনিধি হওয়া সত্ত্বেও আর্থিক, সামাজিক কিংবা রাজনৈতিকভাবে বলবান হওয়ার জন্য তারা সংরক্ষণের সুবিধা পাবে না।
ওবিসি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কীভাবে এই 'ক্রিমি লেয়ার'কে যোগ্যদের থেকে আলাদা করা হবে, তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া সম্ভব হয়নি। যা নিয়ে একটি সংসদীয় কমিটির বৈঠকে সাংসদরা সরব হন এবং ওবিসি-দের মধ্যে 'ক্রিমি লেয়ার' নির্ধারণের ক্ষেত্রে যাতে কোনও 'বৈষম্য' না করা হয়, সেই দাবিও তোলেন। এই প্রেক্ষাপটেই চলতি মাসে আরও একটি বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু, এখন শোনা যাচ্ছে, ওবিসি-দের কল্যাণে গঠিত সংসদীয় কমিটি পাঁচবছর আগেই এই বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করেছিল এবং সেই সময় সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলির আর্থিক সক্ষমতা বা 'উপার্জন' নির্ণয় করার ক্ষেত্রে সেই পরিবারের সদস্যদের প্রাপ্ত 'বেতন' গণনায় অন্তর্ভুক্ত করার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছিল।
লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, সেই সময় সংশ্লিষ্ট প্যানেলের মাথায় ছিলেন বিজেপি সাংসদ গণেশ সিং। যিনি বর্তমান প্যানেলেরও চেয়ারপার্সন!
টাইমস অফ ইন্ডিয়া-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, সংশ্লিষ্ট কমিটির তরফ থেকে আগামী ২৮ নভেম্বর ভারত সরকারের অধীনস্ত 'কর্মী ও প্রশিক্ষণ বিভাগ'-এর প্রতিনিধিকে উপস্থিত থাকার জন্য সমন পাঠানো হয়েছে।
সর্বভারতীয়স্তরে যে প্রশাসনিক প্রবেশিকা পরীক্ষাগুলি নেওয়া হয়, সেইসব পরীক্ষায় বিশেষ সংরক্ষণ পান সংরক্ষিতরা। প্রশ্ন হল, অবস্থাপন্ন ওবিসি পরিবারের সন্তানরাও কি সেই সুবিধা পাবেন? এক্ষেত্রে যদি তাঁদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা গণ্য করতে হয়, তাহলে সেই পরিবারের সদস্যদের প্রাপ্ত বেতন কি হিসাবের আওতায় আসবে?
এই বিষয়ে আলোচনা করার সময়েই 'কর্মী ও প্রশিক্ষণ বিভাগ'-এর প্রতিনিধিকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে বলে দাবি সূত্রের।
এই ইস্যুতে শেষবার বৈঠক হয় গত বুধবার। সেই বৈঠকে ১৯৯৩ সালের ওবিসি সংরক্ষণ আইনের প্রসঙ্গ টেনে কমিশনের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করেন বৈঠকে উপস্থিত সাংসদরা।
উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালে ওবিসি সংরক্ষণ চালু করার সময়েই 'ক্রিমি লেয়ার'-এর কথা বলা হয়েছিল। ঠিক করা হয়েছিল, যেসমস্ত ওবিসি পরিবার বিগত কিছু সময় ধরে আর্থিক ও সামাজিকভাবে উন্নত স্তরে রয়েছে, সেইসব পরিবারের সন্তানরা ওবিসি সংরক্ষণের সুবিধা পাবেন না।
এ বিষয়টি নিয়ে লাগাতার বিতর্কের জেরেই উচ্চ পদস্থ কিছু সরকারি আধিকারিক ও আমলাদের বেতন 'ক্রিমি লেয়ার' নির্ধারণের ক্ষেত্রে গণনার আওতাভুক্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ওবিসি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে 'ক্রিমি লেয়ার' নির্ধারণ করার জন্য শেষবার নিয়মে সংশোধন করা হয়েছিল ২০১৭ সালে। তাতে বলা হয়েছিল, কোনও ওবিসি পরিবারের বার্ষিক আয় ৮ লক্ষ টাকা বা তার বেশি হলে, সেই পরিবারের সন্তানরা 'ক্রিমি লেয়ার'-এর আওতায় পড়বেন।
বিরোধী সাংসদদের বক্তব্য, বর্তমান বাজার ও মূল্যবৃদ্ধির নিরিখে বেতন বা আয়ের এই ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানো দরকার। কেন বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার সেই সংশোধন করছে না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন সাংসদরা।
