প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কেন্দ্র বারাণসীর পর এবার উত্তরপ্রদেশের রামপুর।১১ বছরের মূক ও বধির দলিত কিশোরীকে ধর্ষণ এবং নৃশংস অত্যাচারের ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে দেশজুড়ে।ইতিমধ্যে এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।অন্যদিকে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই কিশোরী।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিল ওই কিশোরী। বাড়ির লোকেরা বহু খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনও হদিস পাননি। বুধবার সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি মাঠের মধ্যে কিশোরীকে নগ্ন এবং অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তার শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। মুখে ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।এরপরই কিশোরীকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উন্নত চিকিৎসা পরিষেবার জন্য পরে সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় মিরাটে।নির্যাতিতাকে পরীক্ষা কর দেখেন যে চিকিৎসক, সেই অঞ্জু সিং জানিয়েছেন, পরিষ্কার ধর্ষণ করা হয়েছে। এক বা একাধিক জন যুক্ত থাকতে পারে।নির্যাতিতার যৌনাঙ্গে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।এমনকি সিগারেটের ছ্যাকাও দেওয়া হয়েছে। ভারী কিছু দিয়ে মুখে আঘাত করা হয়। মুখ পুরো ফুলে গিয়েছে। এতটাই সন্ত্রস্ত কিশোরী যে তা চোখেমুখে তা ফুটে উঠেছে। এমন যৌন নির্যাতনের ঘটনা আগে দেখেননি বলেও জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক।
এই ঘটনায় নাবালিকার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। মামলা দায়ের করা হয়েছে পকসো ধারাতেও। তদন্তে নেমে পুলিশ এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ২৪ বছর বয়সি দান সিং নামে এক যুবককে অভিযুক্ত হিসেবে শনাক্ত করেছে । জানা গেছে, নির্যাতিতার গ্রামেই বাসিন্দা ওই যুবক। তাকে হেফাজতে নিতে গেলে পুলিশের হাত ছাড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিও ছোড়ে। পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়লে তার পায়ে গুলি লাগে। এরপরে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে রামপুরের পুলিশ সুপার বিদ্যাসাগর মিশ্র জানিয়েছেন, কিশোরীর মা অভিযোগ করেছেন যে তার মেয়ে কথা বলতে পারে না এবং কানেও শোনে না। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই অভিযুক্ত তাকে ভুলিয়ে নিয়ে যায়।পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। তদন্ত চলছে।
গত ৪ এপ্রিল বারাণসীতে এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় অসন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । তারমধ্যেই ফের উত্তরপ্রদেশ ধর্ষণের ঘটনায় রাজ্যে নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।