পূজা খেদকার। প্রবেশনারি আইএএস অফিসার। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল যে তিনি তাঁর ক্ষমতা ও সুযোগ সুবিধার অপব্যবহার করছেন। ফের তাঁকে ডেকে পাঠানো হল লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ন্যাশানাল আকাদেমি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে। মুসৌরিতে রয়েছে এই অ্যাকাডেমি। আপাতত তাঁর প্রশিক্ষণকে স্থগিত রাখা হয়েছে। এর আগে তাঁকে পুনে থেকে ওয়াসিমে বদলি করা হয়েছিল। এবার তাঁকে ডেকে পাঠানো হল আইএএস অ্য়াকডেমিতে। তাঁর বিরুদ্ধে বিশেষভাবে সক্ষম ও ওবিসি সংক্রান্ত সার্টিফিকেট কারচুপি করার অভিযোগ উঠেছিল। এবার সেই আইএএস পূজাকে ডেকে পাঠানো হল পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য।
জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্টের তরফে বলা হয়েছে যে মহারাষ্ট্র সরকারের ডিস্ট্রিক্ট ট্রেনিং প্রোগ্রাম থেকে আপনাকে অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে। দ্রুত তাঁকে অ্যাকাডেমিতে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আসলে ইউপিএসসিতে যে সমস্ত সার্টিফিকেট জমা দিয়েছিলেন তার মধ্য়ে একটিতে উল্লেখ করা ছিল দৃষ্টিশক্তি সংক্রান্ত তাঁর সমস্যা ছিল। এটা নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধে। এরপর এনিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।
সেই সঙ্গেই তিনি আরও দুটি সার্টিফিকেট আগে জমা দিয়েছিলেন। সেটা ২০১৮ সালে ও ২০২১ সালে আহমেদনগর জেলা সিভিল হাসপাতাল দিয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছিল। এরপর ইউপিএসসি তাঁকে মেডিক্যাল চেক আপের জন্য পাঠিয়েছিল। দিল্লি এইমসে তাঁকে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু অন্তত ৬টা অ্যাপয়েন্টমেন্টে তিনি যাননি।
এদিকে এবার দেখা যাচ্ছে যে ২০২২ সালের অগস্ট মাসে পুনের আউধ হাসপাতালে তিনি প্রতিবন্ধকতা সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে প্রত্যাখান করা হয়।
এদিকে ওই আধিকারিকের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে মিডিয়া ট্রায়াল করা হচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে নানা ধরনের অসত্য তথ্য় হাজির করা হচ্ছে।
এর আগে পুনেতে তাঁকে সহকারি কালেক্টর হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। পরে সেখান থেকে তাঁকে বদলি করা হয়। সেখান থেকে তাঁকে ওয়াসিমে পাঠানো হয়। সেখানে গিয়ে আবার তিনি অযাচিতভাবে নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা চান। কিন্তু ট্রেনি অফিসার হিসাবে তিনি এসব পেতে পারেন না। কিন্তু সেসব নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তিনি নানা ধরনের অতিরিক্ত সুবিধা চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
এমনকী তিনি তাঁর প্রাইভেট অডি গাড়িতে গভর্নমেন্ট অফ মহারাষ্ট্র লেখা স্টিকার সেঁটে ঘুরতেন বলেও খবর। এমনকী তিনি আলাদা বাংলো, গাড়িও চেয়েছিলেন। কিন্তু একজন ট্রেনি অফিসার হিসাবে তিনি এসব পেতে পারেন না।