কম্বোডিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সঙ্গে ফোনালাপ ফাঁস হতেই পদত্যাগের চাপে পড়েছেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পায়েতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। এই মুহূর্তে তাঁর জোট সরকার পতনের সম্মুখীন হয়েছে।ইতিমধ্যে সিনাওয়াত্রার নেতৃত্বাধীন সরকারের অন্যতম প্রধান শরিক দল রক্ষণশীল ভুমজাইথাই পার্টি জোট থেকে বেরিয়ে গিয়েছে।আর তারপর থেকেই থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ অথবা নির্বাচন ঘোষণার দাবিও জোরালো হচ্ছে। যার জেরে থাইল্যান্ড নতুন করে রাজনৈতিক অস্থিরতায় পড়েছে। (আরও পড়ুন: কাতারের ঘাঁটিতে আর মার্কিন সামরিক জেট দেখা যাচ্ছে না, সামনে স্যাটেলাইট চিত্র)
আরও পড়ুন-ডিজিটাল ইতিহাসে নজিরবিহীন! ১৬ বিলিয়ন আইডি-পাসওয়ার্ড ফাঁস
শেষ পর্যন্ত চাপের মুখে সেনাপ্রধান ও নিজের পেউ থাই দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন পায়েতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। সাংবাদিক সম্মেলনে সিনাওয়াত্রা বলেন, ‘কম্বোডিয়ার এক নেতার সঙ্গে আমার কথোপকথনের অডিও ফাঁস জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। এর জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।’ ফাঁস হওয়া ফোনালাপে তাঁকে কম্বোডিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সঙ্গে সাম্প্রতিক সীমান্ত বিরোধ নিয়ে আলোচনা করতে শোনা গিয়েছেন। ২০২৩ সালে পদ ছাড়লেও হুন সেন এখনও সে দেশের রাজনীতিতে অত্যন্ত প্রভাবশালী। ফোনে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হুন সেনকে ‘আঙ্কেল’ বলে সম্বোধন করেন এবং থাইল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সেনা কমান্ডারকে নিজের ‘প্রতিপক্ষ’ বলে উল্লেখ করেন। আর এই অডিও ফাঁস হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র সমালোচনার ঝড় ওঠে। (আরও পড়ুন: লাঞ্চের একটাও ছবি এল না, মুনিরকে কি আপ্যায়ন করলেন, নাকি অপমান করলেন ট্রাম্প?)
আরও পড়ুন: খামেনির এত ক্ষমতা এল কীভাবে? রইল ইরানের সর্বোচ্চ নেতার শাসনকালের কিছু তথ্য
আরও পড়ুন: মিসাইলের কাছে ফেল আয়রন ডোম! ইরান-ইজরায়েলের মধ্যে কে কোন ক্ষেত্রে এগিয়ে?
অন্যদিকে, ভুমজাইথাই পার্টির ৬৯ জন সংসদ সদস্যের সমর্থন হারানোর ফলে সিনাওয়াত্রাকে পক্ষে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। এর ফলে ২০২৩ সালের মে মাসের নির্বাচনের মাত্র দুই বছর পরই থাইল্যান্ডে আবারও আগাম নির্বাচনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।বৃহস্পতিবার সিনাওয়াত্রার দুই বাকি জোটসঙ্গী—ইউনাইটেড থাই নেশন ও ডেমোক্র্যাট পার্টির পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য আলাদাভাবে বৈঠক করার কথা রয়েছে। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আশা করছেন, তাঁর প্রকাশ্য ক্ষমাপ্রার্থনা ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে ঐক্য প্রদর্শনের মাধ্যমে হয়তো এই দলগুলোকে জোটে রাখা যাবে।তবে এই দুই দলের যে কোনও একটি জোট ছাড়লেই ক্ষমতাসীন সরকার পতনের মুখে পড়বে। ফলে হয় আগাম নির্বাচন না হয় নতুন করে জোট গঠনের রাজনৈতিক উদ্যোগ শুরু হতে পারে।