২জি স্পেকট্রাম বণ্টন নিয়ে সুপ্রিম রায়ের 'অর্থ বুঝতে চেয়ে' সম্প্রতি আবেদন জানিয়েছিল মোদী সরকার। তবে আদতে সেই রায়ে বদল চাইছিল সরকার। এই নিয়ে কংগ্রেস তোপ দেগেছিল কেন্দ্রকে। আর এবার কেন্দ্রীয় সরকারের সেই আবেদন গ্রহণ করতেই অস্বীকার করল সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার। এই আবেদন প্রসঙ্গে সুপ্রিম রেজিস্ট্রার পবনেশ ডি বলেন, 'এটা স্পষ্ট যে রায়ের অর্থ জানতে চাওয়ার আছিলায় আদতে রায়ের রিভিউ জানানো হচ্ছে। তবে রিভিউয়ের কোনও ভিত্তি এই ক্ষেত্রে নেই।' (আরও পড়ুন: ভারতকে 'জেনোফোবিক' আখ্যা দিয়ে 'চরম অপমান' বাইডেনের, সাফাইতে হোয়াইট হাউজ বলল...)
আরও পড়ুন: গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদা,সমস্যা মেটাতে ১০০ দাওয়াই CESC'র
উল্লেখ্য, ২জি স্পেকট্রাম বণ্টন কেলেঙ্কারিকে হাতিয়ার করে ২০১৪ সালে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ভাবে আক্রমণ শানিয়েছিল বিজেপি। সেই বিজেপি এবার সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়ে দাবি জানিয়েছে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্পেকট্রাম নিলাম না করলে চলবে কি না। ২০১২ সালের এক রায়ে শীর্ষ আদালন জানিয়েছিল, ইউপিএ সরকারের আমলে টেলিকম সংস্থাগুলিকে ২জি স্পেকট্রামের বণ্টন বাতিল করা হচ্ছে। স্পেকট্রামকে 'জাতীয় সম্পদ' আখ্যা দিয়ে সব ক্ষেত্রে নিলাম করা বাধ্যতামূলক বলে জানায় শীর্ষ আদালত। তবে এখন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের প্রশ্ন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিলাম না করে কিছু সংস্থার হাতে আলাদা ভাবে স্পেকট্রাম তুলে দেওয়া যাবে কি না? এই প্রসঙ্গে তারা পূর্বতন রায়ে কিছুটা সংশোধন চাইছেন। (আরও পড়ুন: ঢুকছে সাগরের বাতাস, তাপপ্রবাহ উধাও হয়ে দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টি! কবে? জানাল IMD)
আরও পড়ুন: ভাগাভাগি হলেও ৬ বছর 'লড়াই' নয় গোদরেজ পরিবারে, ব্যতিক্রম শুধু একটি ক্ষেত্রে
উল্লেখ্য, এই রায়ের ব্যাখ্যা চেয়ে গত ডিসেম্বর মাসেই আবেদন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। কেন্দ্রের দাবি, জাতীয় সুরক্ষা, পরিকাঠামো এবং প্রশাসনের সুবিধার্থে ১৯টি ক্ষেত্রে স্পেকট্রাম বণ্টনের জন্য নিলামে ছাড় দেওয়া যায় কি না তা জানাক শীর্ষ আদালত। অবশ্য সরকার এটা স্পষ্ট করে দেয় যে মোবাইল পরিষেবা এবং বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে স্পেকট্রাম নিলামই করা হবে। এর আগে ২০১২ সালে ১২২টি লাইসেন্স বাতিল হয়েছিল ২জি স্পেকট্রামের। সেই সময় মামলাকারীর হয়ে আইনজীবী ছিলেন প্রশান্ত ভূষণ। সোমবার এই মামলার শুনানির সময় আদালতক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রশান্ত ভূষণ। তিনি দাবি করেন, ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্ট এই মামলার নিষ্পত্তি করেছে। নিলাম ছাড়া অন্য ভাবে স্পেকট্রামের বণ্টন সম্ভব নয়। এই আবহে প্রশান্ত ভূষণের দাবি ছিল, সরকারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই মামলায় পুনর্বিবেচনার কোনও প্রয়োজন আর নেই। (আরও পড়ুন: মূল সিগন্যাল লাল হলেও এগোচ্ছে লোকাল ট্রেন! শিয়ালদায় বিপদের শঙ্কায় নিত্যযাত্রীরা)
আরও পড়ুন: কলকাতায় মাথাপিছু ১৫০ লিটার থেকে জলের চাহিদা বেড়ে ৪৫০! সঙ্গে নামছে গঙ্গার জলস্তর
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে সিএজি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, প্রথম ইউপিএ জমানায় ২জি স্পেকট্রাম বণ্টনের জেরে সরকারের প্রায় ১ লক্ষ ৭৬ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়। এর জেরে টেলি যোগাযোগ মন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন এ রাজা। পরে সিবিআই এই মামলার তদন্ত শুরু করে। এ রাজা, কানিমোঝি-সহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত হয়। তবে সিবিআই এই নেতাদের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ জোগাড় করতে পারেনি। তাই সবাই বেকসুর খালাস পেয়ে গিয়েছিলেন। পরে চলতি বছরের মার্চ মাসে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে সিবিআই এ রাজা সহ ১৬ জনের মুক্তির বিরুদ্ধে ফের আবেদন করে। সেই আবেদন গ্রহণ করে উচ্চ আদালত।