রাজনৈতিক দলগুলিকে কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির আওতায় আনা যাবে না। সম্প্রতি এই সংক্রান্ত আবেদন করে দায়ের করা মামলা খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালতের মাননীয় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে উঠেছিল এই মামলা। মামলাটি খারিজ করার পাশাপাশি প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, কীভাবে রাজনৈতিক দলকে কর্মক্ষেত্রের সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত করা সম্ভব?
কী ছিল আবেদন?
সম্প্রতি সারা দেশ জুড়েই রাজনৈতিক দলগুলির অন্দরে একাধিক যৌন হয়রানি ও নিগ্রহের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। পশ্চিমবঙ্গেও বিভিন্ন দলের মহিলা কর্মীদের সম্প্রতি এমন একাধিক অভিযোগ তুলতে দেখা গিয়েছে। সেই দিকটি মাথায় রেখেই রাজনৈতিক দলগুলিকে কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি সংক্রান্ত আইনের আওতায় আনার আর্জি জানানো হয়েছিল। কিন্তু প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন রাজনৈতিক দলগুলিকে কি আদৌ একটি কর্মক্ষেত্র বলে বিবেচনা করা যায়? পাশাপাশি ভারতের প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রন এবং অতুল এস চান্দুরকরের বেঞ্চ বলে, কোনও দল এবং তার কর্মীদের মধ্যে কোনও নিয়োগকর্তা-কর্মচারী সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুন - আয়কর রিটার্নের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে? কবে শেষ তারিখ? কী বলল আয়কর দফতর
কী রায় কেরল হাইকোর্টের?
২০২২ সালের মার্চ মাসে কেরল হাইকোর্টের একটি রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে স্পেশাল লিভ পিটিশন ফাইল করেছিলেন অ্যাডভোকেট যোগমায়া এমজি। ২০১৩ সালের POSH আইনে কর্মক্ষেত্রে নারীদের যৌন হয়রানিকে সংকীর্ণ এবং সীমাবদ্ধ ব্যাখ্যায় গ্রহণ করা হয়েছিল বলে দেখানো হয় ওই পিটিশনে। কিন্তু কেরল হাইকোর্ট রায় দেয়, রাজনৈতিক দল এবং অনুরূপ সংস্থাগুলির মধ্যে প্রচলিত নিয়োগকর্তা-কর্মচারী সম্পর্কের অনুপস্থিত। তাই তারা অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটি (ICC) গঠন করতে বাধ্য নয়। তবে পিটিশনের যুক্তি ছিল, ফ্রিল্যান্স ব্যবস্থায় নিযুক্ত বড় অংশের মহিলারা বিশেষত চলচ্চিত্র, মিডিয়া এবং রাজনৈতিক দলের কর্মীরা আইনের সুরক্ষা থেকে বাদ গিয়েছে।
আরও পড়ুন - জুতোও বাধা দিতে পারে সৌভাগ্য অর্জনে, কীভাবে? কী প্রতিকার জেনে নিন
সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের
কেরল হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে এই মামলাটি যায়। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলার আবেদন করা হয়। কিন্তু ওই বেঞ্চ মামলাটি গ্রহণ করতে অস্বীকার করে। ব্যাখ্যা দেওয়া হয়, রাজনৈতিক দলগুলি কোনও প্রতিষ্ঠানের মতো নয়।