রাজস্থানের কোটায় এক ছাত্রের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বেঁধেছে। বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রের দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃত ছাত্রের নাম মণীশ প্রজাপত (১৭)। পুলিশের অনুমান, এটি আত্মহত্যার ঘটনা। এই নিয়ে গত এক সপ্তাহে তিন ছাত্রের রহস্য মৃত্যু হল কোটায়। জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন তাঁর বাবা। তিনি বাড়ি ফেরার পথেই ছেলের মৃত্যুর খবর শুনতে পান। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, পরীক্ষার চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হয়েছেন ছাত্র।
আরও পড়ুন: স্বপ্নদীপের মৃত্যুতে রয়েছে প্রশাসনিক মদত, আইনি সহায়তার আশ্বাস দিয়ে দাবি সুকান্তর
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কোটার মহাবীর নগরে হস্টেলে মণীশের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। উত্তরপ্রদেশের আজমগঢ়ের বাসিন্দা। মণীশ জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। গত বছর কোটায় একটি কোচিং ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রের বাবা তাঁর সঙ্গে সেখানে পাঁচ দিন ছিলেন। এরপর বৃহস্পতিবার তিনি সেখান থেকে চলে যান। বাড়ি ফেরার পথেই তিনি ছেলের মৃত্যুর খবর জানতে পারেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, রাতে খাবার পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঘরে ঢুকে পড়েন ওই ছাত্র। সেই সময় তাঁর বাবা তাঁকে বেশ কয়েকবার ফোন করেছিলেন। কিন্তু তিনি ফোনে ছেলেকে পাচ্ছিলেন না। তাই তিনি উদ্বিগ্ন হয়ে হস্টেল কর্তৃপক্ষকে ফোন করে খোঁজ নিতে বলেন। এরপর হস্টেলের কর্মীরা গিয়ে দেখেন ঘরের দরজা বন্ধ। ধাক্কাধাক্কি করে সাড়া না পেয়ে জানলা দিয়ে উঁকি দিতেই দেখতে পান মণীশের দেহ।
সঙ্গে-সঙ্গে হস্টেলের তরফে পুলিশের খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙে ছাত্রের দেহ উদ্ধার করে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। যদিও ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি।
ডিএসপি ঘনশ্যাম মীনা বলেছেন, পড়াশোনার কারণে চাপের মধ্যে ছিলেন ওই পড়ুয়া। কারণ তিনি ক্রমাগত খারাপ ফল করছিলেন। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, ক্লাসে অনিয়মিত ছিলেন ওই ছাত্র। এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
(হেল্পলাইন নম্বর: ওয়ালাইফ ফাউন্ডেশন - ৭৮৯৩০৭৮৯৩০)