'ফ্রড অর নট ফ্রড? দ্যাট ইজ দ্য কোয়েশ্চন...' হ্যামলেট যদি স্টেট ব্যাঙ্কের কর্তা হতেন, সম্ভবত এমনই কিছু বলতেন। না, হেঁয়ালি করছি না, কিছুটা এই ধরণেরই অবস্থায় পড়েছে ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ক। ঋণ প্রদানকারী ঠিক কখন কোনও গ্রহীতাকে 'ফ্রড' বা জালিয়াত হিসাবে চিহ্নিত করতে পারবে? সেই প্রশ্নের উত্তর পেতেই এখন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে SBI ।
সম্প্রতি আদালত এক রায়ে জানিয়েছে, ব্যাঙ্করা কখনই নিজে নিজে কোনও ঋণগ্রহীতাকে 'ফ্রড' হিসাবে ঘোষণা করতে পারবে না। এদিকে এই রায়ের প্রেক্ষিতে চিন্তিত ব্যাঙ্ক কর্তারাও। ঠিক কতদিন ঋণখেলাপি হলে, কতটা জরুরি অবস্থার ক্ষেত্রে তাহলে কাউকে 'ফ্রড' বলা যাবে? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েই এখন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ক।
সম্প্রতি তেলেঙ্গানা হাইকোর্টের একটি আদেশ বহাল রেখে শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, শুরুতেই কোনও অ্যাকাউন্টকে জালিয়াতি হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা যাবে না। তার আগে ব্যাঙ্ককে অবশ্যই ঋণগ্রহীতার বক্তব্য শুনতে হবে। সেই রায়ের বিষয়ে বিশদে পড়তে এই লিঙ্কে টাচ করুন: ব্যাঙ্ক চাইলেই কোনও অ্যাকাউন্ট Fraud বলতে পারবে না, রায় সুপ্রিম কোর্টের
সাধারণ ন্যায়বিচারের নীতির প্রেক্ষিতে যাচাই করে যুক্তিসঙ্গতভাবে সেই কেসের বিচার করতে হবে বলে জানিয়েছে আদালত।
কিন্তু এখানেই তৈরি হয়েছে এক অমোঘ প্রশ্ন। সেটা হল, এই যে ঋণগ্রহীতার কথা শুনতে হবে, তার জন্য কতটা সময় মিলবে? 'ব্যক্তিগত শুনানির' জন্য কতদিনের সময়সীমা দেওয়া হবে? সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে আদালতের কাছে অনুরোধ করেছে ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ক।
আপাতত SBI-এর আর্জি, সম্পূর্ণ রিপোর্টের পরিবর্তে ঋণগ্রহীতাদের ফরেনসিক অডিট রিপোর্টের শুধুমাত্র প্রাসঙ্গিক অংশটুকুই চিহ্নিত করে তার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক ব্যাঙ্কদের।
SBI-এর মতে, ঋণগ্রহীতাকে প্রাসঙ্গিক অডিট রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে নিজের বক্তব্য প্রকাশ করার সুযোগ দেওয়া হবে।
এর পাশাপাশি, SBI তার আবেদনের পক্ষে যুক্তিও দিয়েছে। তাদের মতে, ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণগ্রহীতার কাছে যেন সম্পূর্ণ ফরেনসিক অডিট রিপোর্ট হস্তান্তর করতে বাধ্য না করা নয়। কারণ এতে ভবিষ্যতে তদন্ত বাধাগ্রস্ত হতে পারে। ঋণগ্রহীতাও আগেভাগে সতর্ক হয়ে যেতে পারে।
এর পাশাপাশি ব্যাঙ্ককে কোনও কেসের গুরুত্বের ভিত্তিতে রায় প্রদানেক সময়সীমা নির্ধারণ করার অনুমতি দেওয়া উচিত, এমনও সুপারিশ করেছে SBI।
এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, SBI-এর আবেদনে কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের মার্চের আদেশের পর্যালোচনা করার কথা বলা হয়নি। বরং আগের রায়ের স্পষ্টিকরণ চাওয়া হয়েছে। এই নিয়মের যাতে ভুল ব্যাখা বা অপব্যবহার না হয়, তার জন্য এই সিদ্ধান্ত। আরও পড়ুন: SBI-র সার্ভারে ‘গোলযোগ’; সমস্যা YONO, UPI, নেট ব্যাঙ্কিংয়ের ক্ষেত্রে
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক