১৩০তম সংবিধান সংশোধনীকে 'গণতন্ত্রের ওপর বুলডোজার' বলে অভিহিত করলেন শিবসেনা (ইউবিটি) নেতা সঞ্জয় রাউত। এরই সঙ্গে তিনি জানালেন, তাঁর দল জেপিসিতে যোগ দেবে না। উল্লেখ্য, এর আগে তৃণমূল কংগ্রেস জেপিসিতে যোগ না দেওয়ার ঘোষণা করেছিল। সেই পথেই হেঁটেছিল সমাজবাদী পার্টি। এবার মমতার দেখানো পথেই হাঁটছেন উদ্ধব ঠাকরে। সঞ্জয় রাউত এক্স-এ একটি পোস্টে লিখে দাবি কেছেন, এই জেপিসি শুধুমাত্র একটি 'স্টান্ট'। তিনি লেখেন, 'মোদী সরকার গণতন্ত্র এবং জনগণের নির্বাচিত সরকারকে ধ্বংস করার জন্য ১৩০তম সংবিধান সংশোধনীর উপর জোর দিচ্ছে। এই বিল পর্যালোচনা করার জন্য গঠিত জেপিসি নিছক একটি কৌশল। শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে আমরা এই ধরণের জেপিসিতে অংশগ্রহণ করবে না। গণতন্ত্র বিপদের মুখে আছে।'এদিকে সংবিধান সংশোধন এবং মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে ৩০ দিনের গ্রেফতারিতে বরখাস্ত করার বিল নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটিতে কংগ্রেস অংশ নেওয়ার কথা ভাবছিল। তবে তৃণমূলের দেখানো পথে একে একে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলি চলতে শুরু করায় কংগ্রেসের অন্দরে ধন্দ দেখা দিয়েছে। এর আগে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন জেপিসিকে প্রত্যাখ্যান করে বলেছিলেন, 'মোদী জোট একটি অসাংবিধানিক বিল খতিয়ে দেখতে জেপিসি গঠন করছে। পুরোটাই নাটক। আমি খুশি যে আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি। সপা সভাপতি অখিলেশ যাদবও তৃণমূলের পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।'রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও'ব্রায়েন আরও বলেন, 'এই বিলের ধারণাটাই ভুল। যিনি এই বিল এনেছেন, তিনি (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ) নিজে বহুবার অভিযোগ করেছেন যে তাঁর উপর মিথ্যা মামলা চাপানো হয়েছে। যদি কেউ যে কারও বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করতে পারে, তবে এই বিলের অর্থ কী? আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয় হওয়ায় এর উপর কেন্দ্রের কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। সিবিআই, ইডির মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির দায়ের করা মামলাগুলিতেই কেন্দ্র হস্তক্ষেপ করতে পারে।'জেপিসির বিশ্বাসযোগ্যতা এবং উপযোগিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ডেরেক বলেন, আগে জনস্বার্থ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য একটি শক্তিশালী ব্যবস্থা হিসাবে দেখা হত ডেপিসিকে। ২০১৪ সাল থেকে জেপিসি-র ভূমিকা অনেকটাই ফাঁপা হয়ে গিয়েছে। সরকার এটাকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করতে শুরু করেছে। বিরোধীদের সংশোধনী প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে এবং নিছক আনুষ্ঠানিকতায় পরিণত হয়েছে এটি।'