ওড়িশার বালাসোরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কথা এখনও ভোলেনি দেশ। সেই ওড়িশাতেই আবারও ট্রেন দুর্ঘটনা। আজ সকালে লাইনচ্যুত হয় শালিমার-সম্বলপুর এক্সপ্রেস। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ১৮ মিনিট নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। সম্বলপুর স্টেশনে ঢোকার আগে এক্সপ্রেসের ট্রেনের জেনারেল বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। এর জেরে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। তবে দুর্ঘটনার সময় ট্রেনের গতি কম থাকায় বড় রকমের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়। তবে এই দুর্ঘটনার জেরে স্বভাবতই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। দুর্ঘটনার পরপরই রেলওয়ে কর্মকর্তা এবং স্থানীয় পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। উদ্ধারকাজ শুরু হয়। (আরও পড়ুন: ভিনরাজ্যে 'বাংলাদেশি' ধরা নিয়ে আপত্তি তৃণমূলের, এরাজ্যেই গ্রেফতার অবৈধবাসী)
আরও পড়ুন: উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে পদত্যাগের পরপরই সিল ধনখড়ের অফিস? ছাড়তে বলা হয় বাংলো?
রিপোর্ট অনুযায়ী, জেনারেল কামরাটি লাইনচ্যুত হতেই সঙ্গে সঙ্গে চালক ট্রেনটিকে থামিয়ে দেন। তবে দুর্ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর নেই। দুর্ঘটনার পরই যাত্রীদের নিরাপদে নামিয়ে আনা হয়। তাঁদের সম্বলপুর স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে ঠিক কী কারণে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়, তা প্রাথমিক ভাবে জানা যায়নি। পুলিশ এবং আরপিএফ ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখছে। এদিকে দুর্ঘটনার জেরে বিঘ্নিত সম্বলপুর শাখায় ট্রেন পরিষেবা। (আরও পড়ুন: হরিয়ানায় 'বাঙালি গ্রেফতার' নিয়ে সরব TMC, পরে ভুল বুঝে 'কান লাল' নেতার?)
এর আগে চলতি বছরের ৩০ মার্চ ওড়িশায় বড়সড় দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল অসমগামী এক্সপ্রেস ট্রেন। সেদিন কটক স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কিছু পরই কেন্দাপাড়ার কাছে দিঘি ক্যানেলে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল কামাক্ষ্যা এক্সপ্রেস। এর জেরে লাইনচ্যুত হয়েছে ট্রেনের একাধিক এসি কামরা। সেই দুর্ঘটনায় ১ যাত্রীর মৃত্যু হয়িলছে। ২৫ জন গুরুতর ভাবে আহত হয়েছিলেন। ট্রেনটির ১১টি কামরা লাইনচ্যুত হয়েছিল। (আরও পড়ুন: উত্তর বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের 'রূপ বদল', ভারী বৃষ্টিতে ভাসবে কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গ)
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ২ জুন ওড়িশারই বালাসোরে বাহানগা স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। সাম্প্রতিক কালে ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা ছিল সেটি। বাহানগা বাজার রেল স্টেশনের কাছে আপ শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছিল সেই দুর্ঘটনায়। দুর্ঘটনার তীব্রতা এতই ছিল যে যাত্রীবাহী ট্রেনটির ইঞ্জিন উঠে যায় এক মালগাড়ির ওপর। ট্রেনের অধিকাংশ বগি ছিটকে পড়ে পাশের লাইনে। এই সময় উলটো দিক থেকে আসা যশবন্তপুর-হাওড়া হামসফর এক্সপ্রেসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে করমণ্ডলের লাইনচ্যুত বগিগুলিতে। সেই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় ৩০০ যাত্রী। এদিকে আহত হয়েছিলেন প্রায় ১০০০ যাত্রী।