স্বপ্ন পূরণ হল হাবিলদারের পুত্রের। সেরা পারফরমেন্সের জন্য ইন্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডেমির (আইএমএ) মর্যাদাপূর্ণ ‘সোর্ড অব অনার’ জিতলেন এক সেনা অফিসার। সেইসঙ্গে রাষ্ট্রপতির রৌপ্য পদক পেয়েছেন। শনিবার ইন্ডিয়ান মিলিটারি একাডেমির একটি প্যারেডে এই সম্মানে তাঁকে সম্মানিত করা হয়। সেনা অফিসারের নাম যতীন কুমার। এই সম্মানে সম্মানিত হতে পেরে খুশি যতীন।
আরও পড়ুন: লাদাখের ডেপস্যাঙে কি সব প্যাট্রোলিং পয়েন্টেই টহল দিতে পারবে ভারতীয় সেনা?
জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে থেকেই তিনি এখানে ট্রেনিং নিতে চেয়েছিলেন। এর আগে দু দুবার তাঁকে প্রত্যাখ্যান করেছে আইএমএ। কিন্তু, কখনই তিনি আশা হারাননি। তাঁর কথায়, ‘আমি কখনও আশা হারাইনি। আমার পরিবার সবসময় আমার পাশে ছিল। তারা সম্পূর্ণরূপে আমাকে সমর্থন করেছিল। তাদের জন্যই আমি আমার জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় দিনটি উদযাপন করতে পেরেছি।’
সেনা অফিসার জানান, ‘এটা আমার স্বপ্ন ছিল। আমার পরিবার সবসময়ই আমার শক্তি ছিল, এবং তাদের সমর্থনে, আমি আমার জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় দিনটি উদযাপন করছি। এটা আমার বাবার স্বপ্ন ছিল যে আমি একজন সেনা অফিসার হব।আজ সেই স্বপ্ন পূরণ হল।’ সেনা অফিসার জানান, ১১ বছর আগে তিনি সৈনিক স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন। তখন থেকেই তিনি জাতির সেবা করার স্বপ্ন দেখছেন। আজ তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। যতীনের বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত হাবিলদার। ২০১৮ সাল পর্যন্ত সেনাবাহিনীতে চাকরি করেছেন।
যতীন এনডিএ থেকে রৌপ্য পদকপ্রাপ্ত একজন স্নাতক। হরিয়ানার পালওয়ালের বাসিন্দা। তাঁর কথায়, ‘আমার বাবা-মা আমার মেরুদণ্ডের মতো। আমি আমার শিক্ষক এবং সিনিয়র অফিসারদের দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছি।’
এদিকে, পাউরি গাড়ওয়ালের বাসিন্দা মায়াঙ্ক ধিয়ানি নামে অন্য এক সেনা অফিসার ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন। তিনিও তাঁর পরিবারকে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তার বাবাও একজন প্রাক্তন সেনা জওয়ান। তিনিও একইভাবে জানান, পরিবারের জন্যই তাঁর স্বপ্নপূরণ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি একটি সাধারণ পরিবার থেকে এসেছি। আমার মতো একজন সাধারণ মানুষ যদি স্বপ্ন পূরণ করতে পারে তবে যে কেউ দৃঢ় সংকল্পের নিয়ে এগিয়ে গেলে স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে।’ উল্লেখ্য, সেরা পারফরমেন্সের জন্য ইন্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডেমি প্রতি বছর সোর্ড অফ অনার পুরস্কার দিয়ে থাকে।