অপারেশন সিঁদুর। নিখুঁতভাবে জঙ্গি ঘাঁটি উড়িয়ে দিয়ে পহেলগাঁওতে সিঁদুর কেড়ে নেওয়ার বদলা নিল ভারত। দেখিয়ে দিল কাকে বলে প্রত্যাঘাত? কাকে বলে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই?
একের পর এক বিরোধী নেতারা ভারতের সেনার পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন। ভারতের ভূমিকার প্রশংসা করছেন তাঁরা।
অপারেশন সিঁদুর নিয়ে কী লিখলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়?
তিনি লিখেছেন, ‘ধন্য়বাদ ভারতীয় সেনা। এই শক্তিশালী ছবি ফের এই বিষয়টিকে নিশ্চিত করে যে বহিরাগত শক্তি যখন বিভাজন করার চেষ্টা করে তখন ভারত কীভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকে। আমি ভারতের সশস্ত্র বাহিনীকে স্য়ালুট করছি তাদের সাহসিকতা ও শৌর্যের জন্য তাদের নিঁখুত, শৃঙ্খলাবদ্ধ অপারেশনের জন্য। ভারত লাইন না পেরিয়েই জঙ্গি পরিকাঠামো গুড়িয়ে দিয়েছে। এটাই ভারতের শক্তি, সংকল্পে দৃঢ়তা।’
‘কিন্তু এটা পরিস্কার বলা হোক একটা Rabid Dogকে দমানো মানেই হুমকির শেষ এমনটা নয়, এদের যারা তৈরি করে তারা যদি বেঁচে থাকে আর এই ধরনের ছক কষে তবে আরও এই ধরনের শক্তি উঠে আসবে। আসল সমস্যাটা হল এই Rabid Dog নয়, ওই হ্যান্ডলাররা যারা এগুলি তৈরি করে তারাই আসল সমস্যার। তারা জন্ম দেয়, প্রশিক্ষণ দেয় আর তারপর সন্ত্রাস ছড়ায়। শান্তি ও সুরক্ষা আনার জন্য গোটা বিশ্বকে এই সোর্সটাকে শেষ করতে হবে যারা সন্ত্রাসের জন্ম দেয়, বড় করে আর ছড়ায়। এখনই সময় কেবলমাত্র উপসর্গগুলির চিকিৎসা করতে হবে না সোজা রোগের কাছে যান।’
'জয় হিন্দ।'
লিখেছেন অভিষেক।
এরপর তিনি একটি ছবি পোস্ট করেছেন। সেই ছবিতে রয়েছেন, কর্নেল সোফিয়া কুরেশি, বিক্রম মিশ্রি ও উইং কমান্ডার ভূমিকা সিং। এই প্রেস কনফারেন্সের ছবি পোস্ট করেছেন তিনি।
সেই সঙ্গেই তিনি সরাসরি জঙ্গিবাদকে সমূলে বিনাশ করার কথা বলেছেন। মূলত যে সোর্স থেকে এই জঙ্গিবাদ তৈরি হয় সেগুলিকে মেরে ফেলার কথা জানিয়েছেন।
সেই সঙ্গেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের পোস্টকেও তুলে ধরেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছিলেন, জয় হিন্দ, জয় ইন্ডিয়া।
এদিকে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের পদক্ষেপ ছিল মাপা, নির্দিষ্ট এবং কোনওভাবেই উস্কানিমূলক নয়। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর কোনও ব্যবস্থাকেই নিশানা করা হয়নি। লক্ষ্যবস্তু নির্বাচন এবং হামলা কার্যকর করার ক্ষেত্রে ভারত যথেষ্ট সংযম দেখিয়েছে।'