‘অ্যানাবেল’ হলিউডের পর্দায় বহুবার দেখা গিয়েছে এই নাম। ভয়, আতঙ্ক আর ভৌতিক গল্প। কিন্তু এবার সিনেমা নয়, বাস্তবেই অ্যানাবেল পুতুলের উপস্থিতিতে ঘটল চাঞ্চল্যকর ঘটনা। যুক্তরাষ্ট্রে অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হল ‘প্যারানরমাল ইনভেস্টিগেটর’ ড্যান রিভেরার (৫৪)। ‘অ্যানাবেল’ পুতুলের সঙ্গেই সফরে ছিলেন তিনি। যার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন:
ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকার পেনসিলভানিয়া রাজ্যে, ‘ডেভিলস অন দ্য রান’ নামে একটি প্যারানরমাল ট্যুরের সময়। এই ট্যুরে বিভিন্ন ভৌতিক বস্তু নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘোরার পরিকল্পনা ছিল ড্যানের। সেই ট্যুরেই সঙ্গী ছিল 'অ্যানাবেল' নামের সেই পুতুল, যার ইতিহাস ঘিরে রয়েছে ভয়াবহ সব দাবি, যার ওপর ভিত্তি করেই তৈরি হয়েছে ‘দ্য কনজুরিং ইউনিভার্সেস'-এর একাধিক সিনেমা। জানা গিয়েছে, ভ্রমণের তৃতীয় দিনে গেটিসবার্গ শহরে হোটেল রুমে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন ড্যান রিভেরা। দ্রুত চিকিৎসক ডাকা হয়। কিন্তু তাঁদের পৌঁছনোর আগেই মৃত্যু হয় তাঁর। ঠিক কী কারণে তাঁর মৃত্যু, তা স্পষ্ট নয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, চিকিৎসকদের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে অস্বাভাবিক কিছু ধরা পড়েনি। তবে বিষয়টি ঘিরে তদন্ত শুরু হয়েছে।
ঘটনার পরেই শুরু হয়েছে জল্পনা। শুধু একটি পুতুলের সঙ্গে থাকার ফলেই কি মৃত্যু ঘটল এক অভিজ্ঞ প্যারানরমাল গবেষকের? অনেকে বলছেন, এটি নিছকই কাকতালীয়, কেউ কেউ আবার বিশ্বাস করছেন, ‘অ্যানাবেল’ পুতুল আবারও তার ভয়ংকর উপস্থিতি প্রমাণ দিল। ড্যান রিভেরা শুধু একজন প্যারানরমাল গবেষকই ছিলেন না, ‘২৮ ডেজ হন্টেড’ সহ একাধিক জনপ্রিয় ভৌতিক শো-এর প্রযোজক হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। তাঁর আকস্মিক মৃত্যু শুধু এই বিশেষ সফর নয়, ‘অ্যানাবেল’ নামটি নিয়েই নতুন করে কৌতূহল এবং আশঙ্কার জন্ম দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৭০-এর দশকে কানেকটিকাটে নার্সিং ছাত্রী ডোনার হাতে আসে এই পুতুল। তারপর থেকেই শুরু হয় অদ্ভুত একের পর এক ঘটনা। নিজে নিজে জায়গা বদল, তালাবন্ধ ঘরে চলাফেরা, অশরীরী ছায়ার মতো উপস্থিতি। সব মিলিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ডোনা ও তাঁর সহপাঠী। এরপর পুতুলটি তুলে দেওয়া হয় খ্যাতনামা ভৌতিক গবেষক এড ও লরেন ওয়ারেন দম্পতির হাতে। বর্তমানে পুতুলটি রাখা আছে কানেকটিকাটের ওয়ারেন জাদুঘরে, কাচের বাক্সে তালাবদ্ধ অবস্থায়। তবে পুতুলটি কি সত্যিই ‘অশুভ’? কোনও অশরীরি ছায়া আছে? ড্যান রিভেরার মৃত্যু এই প্রশ্নকে ফের সামনে এনে দিয়েছে। আপাতত মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্তের অপেক্ষায় রয়েছেন সকলে।
(বি.দ্র.- এই প্রতিবেদন সংবাদ বিষয়ক। কোনও কুসংস্কারে ইন্ধন দেওয়ার উদ্দেশ্য নেই এই প্রতিবেদনের।)