জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগাম জেলায় বন্দুকযুদ্ধ আজ নবম দিনে প্রবেশ করল। এরই মাঝে জানা গিয়েছে, গতকাল রাতভর এনকাউন্টারে কমপক্ষে দুই নিরাপত্তা কর্মী নিহত হয়েছে। এই 'অপারেশন আখাল' উপত্যকায় দীর্ঘতম সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানগুলির মধ্যে একটি। সেনার চিনার কোর জানিয়েছে, ল্যান্সনায়েক প্রীতপাল সিং এবং সিপাহি হরমিন্দর সিং এনকাউন্টারের সময় শহিদ হয়েছেন। এই অভিযানের শুরু থেকে এই পর্যন্ত অভিযানে ১১ জন নিরাপত্তা কর্মী আহত হয়েছেন। (আরও পড়ুন: রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে ডোভালের, কী কথা হল দু'জনের?)
আরও পড়ুন: আলাস্কায় বৈঠক করবেন ট্রাম্প-পুতিন, দিনক্ষণ জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট
দক্ষিণ কাশ্মীর জেলার আখালের একটি জঙ্গলে নিরাপত্তা বাহিনী ঘিরে ফেলে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল ১ অগস্ট। ওই এলাকায় জঙ্গিদের উপস্থিতি সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়ার পর এই যৌথ অভিযান শুরু হয়। নাম দেওয়া হয়েছে 'অপারেশন আখাল'। ড্রোন এবং হেলিকপ্টারগুলি বনাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের ট্র্যাক করছে, অন্যদিকে প্যারা কমান্ডোরা লুকিয়ে থাকা সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করে নির্মূল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ প্রধান নলিন প্রভাত এবং সেনাবাহিনীর নর্দার্ন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল প্রতীক শর্মা সহ সিনিয়র পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তারা এই অভিযানের উপর নজর রাখছেন।
এর আগে জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে নিরাপত্তা বাহিনী অপারেশন শিবশক্তি চালিয়েছিল। কালসিয়ান-গুলপুর এলাকায় সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করা একদল সন্ত্রাসীকে ভারতীয় বাহিনী বাধা দিয়েছিল। এরপর এই সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল। সেই অভিযান চলাকালীন দুই জঙ্গিকে খতম করা হয়েছিল। তার আগে ২৮ জুলাই শ্রীনগরের উপকণ্ঠে হারওয়ানের কাছে জম্মু ও কাশ্মীরের জঙ্গলে ঘেরা লিডওয়াস এলাকায় এনকাউন্টারে তিন পাকিস্তানি জঙ্গি নিহত হয়। এই অভিযানের নাম ছিল 'অপারেশন মহাদেব'। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার নেপথ্যে থাকা জঙ্গিদের নিকেশ করা হয়েছিল সেই অভিযানে। সেই অভিযানে মৃত জঙ্গিদের সবাই পাকিস্তানভিত্তিক নিষিদ্ধ সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার সিনিয়র এজেন্ট ছিল। মৃতদের মধ্যে অন্যতম ছিল পহেলগাঁও হামলার মূল চক্রী সুলেমান।