বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Railways Land encroachment: শুধু হলদোয়ানির ২৯ একর নয়, দেশে রেলের ৮০০ হেক্টর জমিতে জবরদখল, সবথেকে বেশি শহরে
পরবর্তী খবর
Railways Land encroachment: শুধু হলদোয়ানির ২৯ একর নয়, দেশে রেলের ৮০০ হেক্টর জমিতে জবরদখল, সবথেকে বেশি শহরে
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 06 Jan 2023, 11:45 PM ISTAyan Das
Railways Land encroachment: দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রেললাইনের পাশে প্রচুর ঝুপড়ি আছে। যা উচ্ছেদ করা নিয়ে মাঝেমধ্যেই তুলকালাম পরিস্থিতি হয়। উত্তরাখণ্ডের হলদোয়ানিতে রেলের ২৯ একর জমিতে জবরদখলের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে গড়ায়।
শুধু হলদোয়ানির ২৯ একর নয়, দেশে রেলের ৮০০ হেক্টর জমিতে জবরদখল, সবথেকে বেশি শহরে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে পিটিআই)
উত্তরাখণ্ডের হলদোয়ানিতে রেলের জমি জবরদখলের বিষয়টি গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। তবে শুধু উত্তরাখণ্ডের হলদোয়ানি নয়, পুরো দেশেই রেলের জমিতে জবরদখলের জট আছে। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল, রেলের ৮১৪ হেক্টর জমিতে জবরদখল করা হয়েছে। শহরে জবরদখলের মাত্রা আরও বেশি।
এমনিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রেললাইনের পাশে প্রচুর ঝুপড়ি আছে। যা উচ্ছেদ করা নিয়ে মাঝেমধ্যেই তুলকালাম পরিস্থিতি হয়। সেই পরিস্থিতিতে গত বছর কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল, ভারতীয় রেলের প্রায় ৮১৪ হেক্টর জমিতে জবরদখল করা হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রেললাইনের পাশে বস্তি গড়ে উঠেছে। সেভাবেই জবরদখল হয়ে আছে ভারতীয় রেলের জমি। যে সমস্যা মহানগরী এবং বড় শহরে আরও বেশি বলে জানানো হয়েছিল।
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল, কোথায় কোথায় জবরদখল করা হয়েছে, তা চিহ্নিত করতে নিয়মিত সমীক্ষা চালায় রেল এবং জবরদখলকারীদের উচ্ছেদ করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করে। যদি ঝুপড়ির মতো অস্থায়ী বাসস্থান গড়ে ওঠে, তাহলে স্থানীয় প্রশাসন এবং রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্সের (আরপিএফ) সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে তা সরিয়ে দেওয়া হয়। যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে জবরদখল করে আছেন এবং মানুষকে বুঝিয়ে কোনও কাজ হচ্ছে না, তাহলে রাজ্য সরকার এবং পুলিশের সহায়তায় জবরদখলকারীদের উচ্ছেদ করা হয়।
হলদোয়ানি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ
বৃহস্পতিবার হলদোয়ানিতে রেলের ২৯ একর জমি থেকে জরবদখলকারীদের উচ্ছেদ নিয়ে উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, এটি একটি মানবিক ইস্যু এবং রাতারাতি ৫০,০০০ মানুষকে উৎখাত করা যায় না। সেইসঙ্গে ভারতীয় রেল এবং উত্তরাখণ্ড সরকারের জবাব চেয়ে নোটিশ জারি করে শীর্ষ আদালত।
গত বছরের ৯ ডিসেম্বর হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, হলদোয়ানি স্টেশনের পাশে প্রায় দু'কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যে জবরদখলকারীরা আছেন, তাঁদের সাতদিনের মধ্যে ওই এলাকা খালি করে দিতে হবে। সেই রায়ের ভিত্তিতে বিজ্ঞাপন দিয়ে আগামী ৯ জানুয়ারির মধ্যে রেলের জমি ছাড়ার নির্দেশ দেয় প্রশাসন। তারপরই হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক পিটিশন দাখিল করা হয়। সেইসঙ্গে প্রতিবাদে নেমেছিলেন হলদোয়ানি স্টেশনের রেলের জমিতে বসবাসকারী লোকজন।