দু'হাজার টাকার বেশি ইউপিআই লেনদেনের ক্ষেত্রে কি জিএসটি ধার্য করা হবে? বিষয়টি নিয়ে তুমুল জল্পনা শুরু হলেও সেই সম্ভাবনা খারিজ করে দিল কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। শুক্রবার কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের তরফে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, '২,০০০ টাকার বেশি ইউপিআই (ইউনিফায়েড পেমেন্টস ইন্টারফেস) লেনদেনের ক্ষেত্রে গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্সেস (জিএসটি) চাপানোর বিষয়ে সরকার ভাবনাচিন্তা করছে বলে যে দাবি করা হয়েছে, তা পুরোপুরি মিথ্যে, বিভ্রান্তিকর এবং ভিত্তিহীন। সরকারের কাছে এরকম কোনও প্রস্তাব নেই।'
এমডিআর, জিএসটি ও ইউপিআই লেনদেনের ইতিবৃত্ত
এমনিতে 'মার্চেন্ট ডিসকাউন্ট রেট'-র (এমডিআর) মতো ক্ষেত্রে জিএসটি ধার্য করা হয়ে থাকে। তবে গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করে ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে 'পার্সন-টু-মার্চেন্ট' ইউপিআই লেনদেনের ক্ষেত্রে সেই 'মার্চেন্ট ডিসকাউন্ট রেট' বিষয়টি তুলে নিয়েছিল সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস (সিবিডিটি)।
যেহেতু ইউপিআই লেনদেনের ক্ষেত্রে কোনওরকম এমডিআর থাকে না, তাই সেক্ষেত্রে কোনও জিএসটি ধার্য করা হয় না। সেই আবহে কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছে, ইউপিআইয়ের মাধ্যমে ডিজিটাল লেনদেনের উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে। ২,০০০ টাকার বেশি ইউপিআই লেনদেনের ক্ষেত্রে জিএসটি চাপানো হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: India Bullet Train Big Update: ভারতে বুলেট ট্রেন নিয়ে বড় আপডেট! জাপান পাঠাতে পারে উপহার, আসছে কবে?
অকারণে নথিপত্র চাইবেন না, কড়া নির্দেশ কেন্দ্রের
সেই জল্পনা নস্যাৎ করে দেওয়ার মধ্যেই শুক্রবার অর্থ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, জিএসটি রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়া আরও সহজ করা হচ্ছে। আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে আবেদনকারীদের থেকে যেন অহেতুক কোনও নথিপত্র না চাওয়া হয়। সাতটি কর্মদিবসের মধ্যে সেই রেজিস্ট্রেশনের আবেদন মঞ্জুর করতে হবে বলে আধিকারিকদের স্পষ্ট করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন: K2-18 b: ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব! আবিষ্কারের পথে বিজ্ঞানীরা, দলে ভারতীয় বংশোদ্ভূতও
আর কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সেই নির্দেশ জারি করা হয়েছে একাধিক অভিযোগ পাওয়ার পরে। অভিযোগ করা হচ্ছিল যে জিএসটি রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার সময় আবেদনকারীদের বারবার সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। তাঁদের থেকে বাড়তি নথিপত্র চাওয়া হচ্ছে। সেই আবহেই সিবিডিটির তরফে স্পষ্টভাবে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
বাড়তি নথি উপরমহলের অনুমোদন লাগবে
অর্থ মন্ত্রকের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ফর্মে যে যে নথির কথা বলা হয়েছে, শুধুমাত্র সেগুলিই যাতে চাওয়া হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই তালিকায় উল্লেখ না থাকা নথি যদি চাইতে হয় বা অতিরিক্ত কোনও নথিপত্রের প্রয়োজন হয়, তাহলে ডেপুটি বা অ্যাসিসট্যান্ট কমিশনারের অনুমোদন নিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রক।