মিশনারিজ অফ চ্যারিটিজের আবাসিকরা যাতে অভুক্ত না থাকেন সেকারণে নজরদারির জন্য আগেই জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছিলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। এবার মুখ্য়মন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে তিনি ৭৮.৭৬ লাখ টাকা মঞ্জুর করলেন মিশনারিজ অফ চ্যারিটির প্রতিষ্ঠানের জন্য। মিশনারিজ অফ চ্যারিটি পরিচালিত ১৩টি ইনস্টিটিউটের আবাসিকদের জন্য এই অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। এদিকে এর আগেই সংস্থার পক্ষ থেকে অ্য়াকাউন্ট ফ্রিজ করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। FCRA লাইসেন্স রিনিউ করছে না কেন্দ্রীয় সরকার, এর জেরেই সংস্থার পক্ষ থেকে এই আবেদন করা হয়েছিল। মুখ্য়মন্ত্রীর এই অর্থ প্রদানের পরেই সংস্থার পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে। সিস্টার স্ট্যানলি রোজ জানিয়েছেন, এভাবে পাশে থাকার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। আমরা ওড়িশার মানুষের কাছেও ঋণী থাকব। ঈশ্বর সকলকে রক্ষা করবেন।এদিকে ভুবনেশ্বরের উপকণ্ঠে একটি কুষ্ঠ আশ্রম চলে সংস্থার উদ্যোগে। সেখানে ৩০০জন রয়েছেন। ১২টি অনাথ আশ্রমও রয়েছে। ৮৭জন সিস্টারও রয়েছেন। এদিকে মুখ্য়মন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে এই দান প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র সজ্জন শর্মা বলেন, অডিটের সমস্য়ার জন্য এই এফসিআরএ রিনিউ হয়নি। তবে কোনও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতে কেন্দ্র কোনও পদক্ষেপ নিলে রাজ্যেরও সেটা মানা দরকার। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর জন্য সহযোগিতাপূর্ণ নয়।