উত্তরপ্রদেশের মীরাটে মার্চেন্ট নেভি অফিসার স্বামী সৌরভ রাজপুতকে প্রেমিকের সাহায্য নিয়ে টুকরো-টুকরো করে কেটে খুন করার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীয়ের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে, আর তারপরে ড্রামের ভিতরে সিল করে দিয়েছিল সেই দেহাংশ। হাড়হিম সেই ঘটনা সামনে আসতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই মার্চেন্ট নেভি অফিসারের অভিযুক্ত স্ত্রী মুসকান রাস্তোগিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় মৃত নেভি অফিসারের পরিবার তো বটেই এবার অভিযুক্ত মহিলার বাবা মাও মেয়ের কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তির দাবি জানালেন। তাঁরা চান, তাঁদের মেয়েকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হোক। মুসকানের মা কবিতা রাস্তোগি সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: 'তোমার মৃত মায়ের সঙ্গে আমি চ্যাট করি' কীভাবে স্বামীকে খুনের ছক সাজিয়েছিল মুসকান?
কবিতা জানান, তাঁর মেয়ে শিমলা থেকে ফিরে তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল এবং তাঁদের মেয়ে মুসকান জামাইকে খুনের স্বীকার করেছে। কবিতা এনডিটিভিকে বলেছেন, ‘তাঁদের জামাই সৌরভ মুসকানকে খুবই ভালোবাসত। একবারে অন্ধ প্রেমে ছিল। আমাদের মেয়েরই সমস্যা ছিল। সে সৌরভকে তাঁর পরিবার থেকে আলাদা করে দিয়েছিল। এখন সে এই জঘন্য কাজ করেছে।’
গত ৪ মার্চ থেকে নিখোঁজ ছিলেন সৌরভ রাজপুত। মুসকান এবং তার প্রেমিক ছুরি দিয়ে হত্যা করে সৌরভের দেহ কেটে ১৫ টুকরো করে। এরপর একটি ড্রামের ভিতরে টুকরোগুলি রেখে সিমেন্ট দিয়ে সিল করে দেয় বলে অভিযোগ। মেয়ের এমন কাজে হতবাক তার বাবা-মা।
কবিতা রাস্তোগি এনডিটিভিকে বলেন, ‘এই ঘটনায় ন্যায়বিচার পাওয়া উচিত। সে (সৌরভ) সবকিছু হারিয়েছিল। ওর বাবা-মা, কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি ছেড়ে দিয়েছে। আর ওকেই হত্যা করেছে। সে আমাদের ছেলে ছিল।’ মুসকানের বাবা-মা অশ্রুভরা চোখে মেয়ের মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘সে বেঁচে থাকার অধিকার হারিয়েছে।’