কথায় বলে, কখন কার জীবনে যে মৃত্যু থাবা বসাবে, তা কারও পক্ষেই ঠিকঠাক আগাম বলা সম্ভব নয়। যে কোনও সময়, যে কোনও মানুষই মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়তে পারেন।
ঠিক এমনই একটি ঘটনা ঘটল মধ্যপ্রদেশে। বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলতে বলতেই মৃত্যু হল এক যুবকের।
মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের রীবা এলাকায়। যেখানে এক যুবক তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মারতে-মারতেই মূহূর্তে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়েন।
গোটা ঘটনা বন্দি হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে ইন্টারনেটে।
তাতে দেখা যাচ্ছে, একটি দোকানের ভিতর পাঁচ যুবক বসে কথা বলছেন, গল্প করছেন। তাঁদের মধ্য়ে একজন, যিনি ক্যামেরার দিকে পিছন করে বসেছিলেন, হঠাৎ সামনের দিকে ঢলে পড়েন।
লম্বা চওড়া ওই যুবককে দেখে যথেষ্ট স্বাস্থ্যবান বলেই মনে হবে। সিসিটিভি ক্যামেরার হিসাবে ঘটনাটি ঘটে গত ২০ অক্টোবর।
ওই যুবক প্রথমে দোকানের মধ্য়েই জ্ঞান হারান। তাঁকে সুস্থ করতে উপস্থিত বাকি চারজন কম চেষ্টা করেননি। তাঁরা যুবককে জল খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। তাঁর চোখে-মুখে জল দেন।
এমনকী, দোকানের মেঝেয় শুইয়ে ওই যুবকের হৃদযন্ত্রে চাপ দিয়ে তা সচল করার চেষ্টাও করেন বন্ধুরা। শেষ পর্যন্ত ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া জন্য একটি গাড়ি ডাকা হয়।
তবে, পরবর্তীতে জানা যায়, এত চেষ্টা করেও কোনও লাভ হয়নি। ওই যুবককে শেষমেশ বাঁচানো যায়নি।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুবকের নাম প্রকাশ সিং বাঘেল। তাঁর দাদা বিনয় সিং বাঘেল রীবা শহরের একজন পরিচিত ব্যবসায়ী।
ঘটনার দিন তিনি ওই দোকানে জ্ঞান হারানোর পরই তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু,ততক্ষণে সব শেষ।
হাসপাতালের চিকিৎসকরা ওই যুবককে পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁরা জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই প্রকাশের মৃত্যু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইদানীং অল্প বয়সীদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা লাগাতার বাড়ছে।
অভিজ্ঞ মহলের বক্তব্য, জীবন যাপনের ধরন বদলে যাওয়াতেই এমনটা ঘটছে। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস থেকে নিম্নমানের কাজের পরিবেশ, মানসিক চাপ - এই সবকিছুই অল্প বয়সীদের অকালে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
এই সমস্য়ার মোকাবিলায় নিয়মিত শরীর চর্চা, নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন এবং অবশ্যই নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
কিন্তু, অধিকাংশ মানুষই সেসব মানে না বলে অভিযোগ। যার পরিণতি হচ্ছে ভয়ঙ্কর।