সংঘর্ষ বিরতি আগেই হয়েছে। এবার সোমবার ভারত ও পাকিস্তানের মধ্য়ে ডিজিএমও স্তরে বৈঠক হল। কী হল সেই আলোচনায়?
ভারতীয় সেনার তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে বিষয়টি। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ১২ মে ২০২৫, উভয় দেশের ডিজিএমওর মধ্যে কথা হয়েছে। যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল যে উভয় পক্ষই একটা গুলিও আর চালাবে না, একে অপরের বিরুদ্ধে আগ্রাসন মূলক কোনও পদক্ষেপ নেবে না তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষই রাজি হয়েছে সীমান্ত এলাকা থেকে ও ফরওয়ার্ড এলাকা থেকে উভয় পক্ষই সেনাবহর কমিয়ে আনার বিষয়টি নিশ্চিত করার বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করবে । অবিলম্বে এই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। জানানো হয়েছে ভারতীয় সেনার তরফে।
দুটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত কেউ কারোর দিকে একটা গুলিও আর চালাবে না। সীমান্ত এলাকায় ফরোয়ার্ড পজিশন থেকে সেনাবহর কমিয়ে আনার ব্য়াপারে বিবেচনা করার বিষয়টি নিশ্চিত করার ব্যাপারে উভয় পক্ষই রাজি হয়েছে।
পহেলগাঁওতে একের পর এক নিরীহ পর্যটককে গুলি করে মেরেছিল জঙ্গিরা। এরপর পালটা একের পর এক কড়া সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। তারপর শুরু হয় ভারতের প্রত্যাঘাত। একের পর এক জঙ্গি ঘাঁটি উড়িয়ে দেয় ভারত। পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও পাকিস্তানে সব মিলিয়ে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি উড়িয়ে দেয় ভারত। এখানেই শেষ নয়, অপারেশন সিঁদুরের জেরে কাঁপতে শুরু করে পাকিস্তান। পাকিস্তানের একের পর এক এয়ারবেসে আঘাত হানা শুরু করে ভারত।
এরপর সংঘর্ষ বিরতি। উভয় পক্ষই প্রাথমিকভাবে এই সংঘর্ষ বিরতি মেনে নিয়েছিল। তবে কয়েকঘণ্টার মধ্য়েই পাকিস্তান সেই সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে। তারপরই এনিয়ে পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তারপর কড়া বিবৃতি জারি করে ভারত।
এবার সোমবার ভারত-পাক ডিজিএমও স্তরে বৈঠক। কিন্তু তার আগে ভারতীয় সেনার তরফে জানিয়ে দেওয়া হল কীভাবে ভারত একের পর এক পাক মিসাইলকে নামিয়ে ফেলেছে।
এয়ারমার্শাল একে ভারতী জানিয়ে দিয়েছেন, আমাদের সমস্ত মিলিটারি বেস কার্যকরী রয়েছে। প্রয়োজনে পরের মিশনের জন্য তৈরি আমরা। আমরা তৎপর।
কার্যত এই একটি লাইন পাকিস্তানের বুকে ভয় ধরানোর জন্য যথেষ্ট। একের পর এক এয়ারবেস ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের। সেই ক্ষত কবে সারিয়ে উঠতে পারবে তা ভাবতেই গলা শুকিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানের। এসবের মধ্য়েই ভারত জানিয়ে দিল প্রয়োজনে পরের মিশনের জন্য় তৈরি রয়েছে ভারত। সেই সঙ্গেই সাধারণ ভারতবাসী কীভাবে সেনার এই মিশনের পাশে ছিলেন তাদেরকেও ধন্যবাদ জানানো হয়েছে ভারতীয় সেনার তরফে।