তিরুবনন্তপুরম জেলার বামনপুরম পার্ক জংশনে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের কনভয় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। সোমবার সন্ধ্যায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। রিপোর্ট অনুযায়ী, পাঁচটি এসকর্ট গাড়ি ও একটি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কোট্টায়াম থেকে তিরুবনন্তপুরম ফেরার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এই দুর্ঘটনার এক ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, একটি স্কুটার রাস্তা পার করছিল। সেই সময় স্কুটারের পিছন ছিল পিনারাই বিজয়নের কনভয়। সেই কনভয়ের প্রথম গাড়িটি গতি কমিয়ে দিক বদল করে। এরপর পিছনে থাকা গাড়িগুলি একের পর এক ব্রেক কষতে থাকে। এবং একে অপরের পিছনে ধাক্কা মারে। (আরও পড়ুন: লোকাল ট্রেনে বিস্ফোরণ, কামরায় লাগল আগুন, আতঙ্কিত যাত্রীদের ঝাঁপ চলন্ত ট্রেন থেকে)
আরও পড়ুন: মধ্যরাতে আতশবাজি থেকে দুর্ঘটনা মন্দিরে, আহত ১৫০, ৮ জনের অবস্থা সঙ্কটজনক
এদিকে এই দুর্ঘটনার জেরে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির সামান্য ক্ষতি হলেও কেউ আহত হয়নি বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। এদিকে দুর্ঘটনার ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, গাড়িগুলির সংঘর্ষের পরে এসকর্ট গাড়ি থেকে নেমে নিরাপত্তাকর্মী ও স্বাস্থ্যকর্মীরা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন। এদিকে পুলিশ আধিকারিকরা পিটিআইকে জানান, দুর্ঘটনার পরও মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন তিরুবনন্তপুরম পর্যন্ত যাত্রা জারি রেখেছিলেন। অপরদিকে দুর্ঘটনার সাথে সম্পর্কিত কোনও মামলা দায়ের করা হয়নি। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী শারীরিক ভাবে সুস্থ আছেন এই দুর্ঘটনার পরও। (আরও পড়ুন: 'সরকারের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে রেখেছেন SEBI প্রধান', আদানিকে টেনে বিস্ফোরক মহুয়া)
এদিকে ভাইরাল এই ভিডিয়ো নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই জোর তর্ক বিতর্কও শুরু হয়েছে। অনেকেই দুর্ঘটনার জন্যে স্কুটারটিকে দায়ী করছে। আবার অনেকেই দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানোর জন্যে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়কে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। এই নিয়ে সাংবাদিক রাহুল শ্রীনিবাস ভিডিয়োটি শেয়ার করে লিখেছেন, 'এই দুর্ঘটনার একমাত্র কারণ অতিরিক্ত গতি এবং ট্র্যাফিক আইন লঙ্ঘন। ডাবল হলুদ ডোরাকাটা লাইনটি কার্যকরভাবে বোঝায় যে সেটা রাস্তার 'ডিভাইডার' হিসাবে বিবেচনা করা উচিত। এখানে ওভারটেকিং করা যাবে না।' এদিকে অমিতাভ চৌধুরী নামে এক নেটিজেন এই নিয়ে বলেন, ' স্কুটারটি হঠাৎ ডান দিকে বাঁক নিল। এর জেরে কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ের গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটেছিল? নাকি এসকর্ট গাড়ির চালক ভুল করেছিলেন এবং শহরে নির্ধারিত সীমার চেয়ে বেশি গতিতে চলছিল এই কনভয়?' অনেকেই আবার সেই স্কুটার চালককে শনাক্ত করে শাস্তি দেওয়ার দাবি তুলেছেন। যদিও পুলিশে এই দুর্ঘটনা নিয়ে কোনও মামলা দায়ের হয়নি।