অভিযোগ, জাতীয় স্তরের মদের চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত কেসিআর কন্যা কবিতা। 'দ্য সাউথ গ্রুপ' নামে একটি গোষ্ঠী এই কাজ চালাচ্ছে। ধৃত ব্যবসায়ী অরুণ রামচন্দ্রন এই গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছে ইডি। এই আবহে আজ অরুণ রামচন্দ্রন পিল্লাইয়ের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে কবিতাকে।
দিল্লির আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় আজ দিল্লির ইডি দফতরে হাজির হলেন তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের মেয়ে তথা বিআরএস-এর এমএলসি কে কবিতা রাও। আজ ইডি হাজিরার আগে কবিতার দিল্লির বাসভবনের বাইরে জড়ো হয়েছিলেন বিআরএস কর্মী, সমর্থকরা। জানা গিয়েছে, হায়দরাবাদের ধৃত ব্যবসায়ী অরুণ রামচন্দ্রন পিল্লাইয়ের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে কবিতাকে। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় তদন্তের গতি বাড়িয়েছে ইডি। এই মামলায় জেলে গিয়েছেন দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। এবার এই মামলায় তলব করা হয়েছে কেসিএর-এর মেয়েকে। এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর সিবিআই কবিতা রাওকে সাত ঘণ্টা জেরা করেছিল হায়দরাবাদে। (আরও পড়ুন: লালুর মেয়ে ও তেজস্বীর বাড়িতে হানা ইডির, উদ্ধার ‘টাকার পাহাড়’, কেজি কেজি সোনা)
এর আগে গত মঙ্গলবার হায়দরাবাদের ব্যবসায়ী অরুণ রামচন্দ্রন পিল্লাইকে গ্রেফতার করে ইডি। তদন্তকারীদের অভিযোগ, জাতীয় স্তরের মদের চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত কেসিআর কন্যা কবিতা। 'দ্য সাউথ গ্রুপ' নামে একটি গোষ্ঠী এই কাজ চালাচ্ছে। ধৃত ব্যবসায়ী অরুণ রামচন্দ্রন এই গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছে ইডি। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, 'দ্য সাউথ গ্রুপ' আম আদমি পার্টির নেতাদের একশো কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছে। জানা গিয়েছে, ধৃত মদ ব্যবসায়ী অমনদীপের থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেই রামচন্দ্রনকে গ্রেফতার করা হয়। এই আবহে আজকে অরুণ রামচন্দ্রন পিল্লাইয়ের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে কবিতাকে।
ইডি দাবি করেছে, অরুণ রামচন্দ্রন পিল্লাই, অভিষেক বোইনপালি এবং অন্যান্য অনেকে আপ নেতাদের সঙ্গে সমন্বয়ে এই কেলেঙ্কারিকে বাস্তবায়িত করেছিলেন। এদিকে বিরোধীদের অভিযোগ, রাজনৈতিক বিরোধের জেরে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করছে বিজেপি। প্রসঙ্গত, এই অভিযোগ জানিয়ে সম্প্রতি দেশের ৯টি বিরোধী দলের শীর্ষ নেতা-নেত্রীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন। সেই চিঠি লেখার পরই আবার কেসিআরের মেয়েকে তলব করল ইডি। তবে ইডির দাবি, অন্ধ্রপ্রদেশের শাসক দল ওয়াইএসআর কংগ্রেসের সাংসদ মাগুন্টা শ্রীনীবাসালু রেড্ডি এবং অরবিন্দ ফার্মার শরথ রেড্ডিও জড়িত এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে।