মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিজয় ভাষণে বলেছিলেন, 'ওয়াকফ আইনের কোনও স্থান নেই সংবিধানে।' এই আবহে প্রধানমন্ত্রীর নিন্দায় সরব হলেন জমিয়ত উলামা-ই-হিন্দের সভাপতি মাওলানা আরশাদ মাদানি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই মন্তব্যটিকে 'বোকা বোকা'। মাদানির মতে, ওয়াকফ ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। হাদিসে এর উল্লেখ করা হয়েছে এবং মুসলমানরা এটি রক্ষা করার জন্য দায়ী। তিনি বলেন, 'শনিবার নয়াদিল্লিতে বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী মোদী যা বলেছেন তা কেবল অজ্ঞাতই নয়, তা ভারতে মুসলমানদের ধর্মীয় অধিকারকে সীমাবদ্ধতার করে দিতে পারে।' (আরও পড়ুন: ৩০০ বিলিয়ন ডলারের চুক্তিতে শেষ COP29, 'বিশ্বাসের অভাব', গর্জে উঠল বিদ্রোহী ভারত)
আরও পড়ুন: নতুন মুখ্যমন্ত্রী পাবে মহারাষ্ট্র! BJP-র হয়ে সওয়াল অজিত পাওয়রের NCP-র
এরপর মাদানি বলেন, 'আগামিকাল হয়ত এটা বলা হতে পারে যে মুসলমানদের নমাজ আদায় করতে পারবে না, হজ যাত্রায় যেতে পারবেন না এবং যাকাত দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না। কারণ এগুলোরও সংবিধানে কোনও উল্লেখ নেই। প্রধানমন্ত্রীর এটা জানা উচিত যে ওয়াকফ ইসলামের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং হাদিসে এর উল্লেখ পাওয়া যায়। এটা আমাদের নবির বলা কথা। প্রধানমন্ত্রীর এটাও মনে রাখা উচিত যে দেশের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান প্রত্যেক ধর্মীয় সংখ্যালঘুকে তার ধর্ম পালনের অধিকার দিয়েছে। আর মুসলিমরা ওয়াকফ বিলের বিরোধিতা করে সেই অধিকারের দাবি করছে।' এদিকে চন্দ্রবাবু নাইডু, নীতীশ কুমারের মতো এনডিএ শরিকদের সাহায্য চেয়ে আবেদ করেছন মাদানি। (আরও পড়ুন: ভারত-মার্কিন চুক্তির জের,এভাবে হুট করে আদানিকে তলবের নোটিশ পাঠাতে পারে না US SEC)
আরও পড়ুন: দল হারানোর পর এবার পরাজয় ভোটেও, নির্বাচনী ভাইপো অজিতের ফল নিয়ে অকপট শরদ পাওয়ার
উল্লেখ্য, সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেই পেশ হতে চলেছে ওয়াকফ সংশোধনী বিল। এমনই দাবি করা হয়েছে সাম্প্রতিক রিপোর্টে। প্রসঙ্গত, শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম সপ্তাহে ওয়াকফ সংশোধনী বিলের ওপর রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা যৌথ সংসদীয় কমিটির। তবে ওয়াকফ সংশোধনী বিল পেশ করা হলে তা নিয়ে বিরোধীরা সংসদ অচল করার চেষ্টা করবেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। (আরও পড়ুন: আজ তৈরি হবে গভীর নিম্নচাপ, দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় পরপর বৃষ্টির পূর্বাভাস)
আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশের সম্ভল সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা বাড়ল, বিস্ফোরক অভিযোগ অখিলেশের
এর আগে নিজের ভাষণে ওয়াকফ নিয়ে সরব হয়েছিলন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মোদী অভিযোগ করেন, 'জাতিভেদ এবং বিভাজনের বিষ ছড়ানো হচ্ছে।' তিনি বলেন, 'সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষ নীতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে কংগ্রেস।' ওয়াকফ আইনকে 'কংগ্রেসের তোষণের রাজনীতির উদাহরণ' হিসাবে আখ্যা দেন মোদী। তিনি বলেন, 'সত্যিকারের ধর্মনিরপেক্ষতাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার চেষ্টা করেছিল কংগ্রেস। সংবিধানে ওয়াকফ আইনের কোনও স্থান নেই।'