ধর্ম বদলের জন্য চাপ ছাত্রীকে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কানপুরের জাজমাউয়ে। রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, সেখানে এক ইন্টারমিডিয়েট ছাত্রীকে হুমকি দেওয়া হয়েছে, তিনি মুসলিম ধর্ম গ্রহণ না করলে তাঁর বাড়িতে এত বোমা মারা হবে যে বাড়ি ধ্বংস হয়ে যাবে। এমনকী সেই ছাত্রীর বাবা-মাকে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়েছে। হুমকির পর আতঙ্কে রয়েছেন ওই ছাত্রী। সেই হুমকির ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানান তিনি। এই আবহে অভিযুক্তের খোঁজে পুলিশ তার ঠিকানায় অভিযান চালালেও তাকে পাওয়া যায়নি। (আরও পড়ুন: মেইতেই নেতাদের গ্রেফতারির খবরে আগুন জ্বলল মণিপুরে, ৫ জেলায় বন্ধ হল ইন্টারনেট)
আরও পড়ুন: খলিস্তানি মোহ কাটিয়ে ভারতের 'দাম' বুঝল কানাডা, মোদীকে নিয়ে একই পাতায় শাসক-বিরোধী
জাজমাউয়ের বাসিন্দা ১৬ বছরের ওই কিশোরী জানায়, তিন বছর আগে তাঁর এক বন্ধুর বন্ধু আলতামাশের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়েছিল। ছাত্রীর অভিযোগ, স্কুলে ও ফোনে হুমকি দেয় এই আলতামাশ। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ না করলে তাঁর বাড়িতে গুলি ও বোমা মারার হুমকি দেয় সে। ছাত্রীর প্রিয়জনদের মেরে ফেলার হুমকিও দিচ্ছে অভিযুক্ত। হুমকির পর আতঙ্কে রয়েছেন ওই ছাত্রী। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার জাজমাউ পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অশ্লীলতা ও ভয় দেখানোর অভিযোগে রিপোর্ট দায়ের করেছে। কিন্তু প্রতিবেদন দাখিলের ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা যায়নি।
এরই মধ্যে ওই শিক্ষার্থীর ১ মিনিট ১৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। যেখানে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। একই সময়ে, জাজমাউ থানার ইনচার্জ অজয় প্রকাশ মিশ্র বলেছেন যে পুলিশ অভিযুক্তের ঠিকানায় অভিযান চালিয়েছিল, কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশের একটি দল নিয়োজিত রয়েছে। এসিপি অভিষেক পাণ্ডে জানিয়েছেন, নির্যাতিতার আত্মীয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে জাজমাউ থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। চমনগঞ্জে অভিযুক্তের বাড়িতে হানা দিয়েছে পুলিশ। যেখানে তিনি ভাড়া থাকত বলে জানা গেছে। ঘটনাস্থলে অভিযুক্তকে পাওয়া যায়নি। পুলিশের একটি দল তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে। শিগগিরই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে দাবি করেন পুলিশ কর্তা।